সিঙ্গেলদের জন্য সেরা ঠিকানা! এই মেলাতে এলেই খুঁজে পাওয়া যায় জীবনসঙ্গী, ভিড় জমান বহু মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মেলা (Fair) হল এমনই একটি মিলনস্থল যেখানে উপস্থিত হন হাজার হাজার মানুষ। দেশ তথা বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু প্রাচীন মেলা হয়। যেগুলিতে বিপুল জনসমাগম ঘটে। বছরের বিভিন্ন সময়ে এই মেলাগুলি সম্পন্ন হয়। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি মেলার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। শুধু তাই নয়, এই মেলার মূল আকর্ষণও চমকে দেবে সবাইকে।

এই মেলাতে (Fair) এলেই খুঁজে পাওয়া যায় জীবনসঙ্গী:

মূলত, আজ আমরা আপনাদের এমন একটি মেলা (Fair) সম্পর্কে জানাবো যেখানে সবাই খুঁজতে যান জীবনসঙ্গী। হ্যাঁ, প্রথমে এটি পড়ে অবাক হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। অর্থাৎ, সোজা কথাই বলতে গেলে ওই মেলাই খুঁজে দেয় সঙ্গী। যাঁর সাথে মনের মিল ঘটে গেলেই সেখান থেকেই সম্পন্ন হয় বিয়ে। এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে যে, এই অবাক করা মেলা কোথায় বসে? এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বাংলাদেশের দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এই মিলন মেলা।

Life partner can be found by coming to this fair.

এদিকে, এই মেলার (Fair) জন্য নির্ধারণ করা রয়েছে বিশেষ দিনও। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জনের পরের দিন সম্পন্ন হয় এই মেলা। তবে, চলতি বছরে এই নির্ধারিত দিনের একদিন পর অনুষ্ঠিত হয় এই মেলাটি। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই মেলাটি মূলত আদিবাসী মিলন মেলা হিসেবে পরিচিত। যেখানে জীবনসঙ্গী খোঁজার আশায় উপস্থিত হন হাজার হাজার আদিবাসী।

আরও পড়ুন: “আমি এমন ব্যক্তি নই যে…”, টেস্ট সিরিজে হারের পর বড় প্রতিক্রিয়া রোহিত শর্মার, স্পষ্ট জানালেন….

এই মেলাটির প্রসঙ্গে মিলন মেলা (Fair) উদযাপন কমিটির সভাপতি শীতল মান্ডি জানিয়েছেন যে, “আজ থেকে ৫০ বছর আগে আদিবাসী পুরুষরা মহিলাদের পছন্দ করলে জোরপূর্বক বিয়ে করে নিতেন। আমরা এই বিষয়টির সংস্কার করতে এই মেলার আয়োজন করেছি। আমাদের মোট ১৩ টি গোত্র রয়েছে। যেখানে একই গোত্রের মধ্যে বিবাহের প্রচলন নেই।”

আরও পড়ুন: এবার বিদেশের মাটিতে বাজবে আদানির ডঙ্কা! দুবাইতে তৈরি করলেন নতুন কোম্পানি

তিনি আরও জানান, “এই মেলাতে (Fair) আদিবাসী পুরুষ এবং মহিলারা নিজেদের পছন্দের জীবনসঙ্গী বেছে নিয়ে তাঁদের অভিভাবকদের কাছে প্রস্তাব নিয়ে গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে বিবাহের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর ফলে তাঁরা একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানতে পারেন এবং জোরপূর্বক বিবাহের বিষয়টিও অনেকটাই কমিয়ে আনা গেছে।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর