ঠিক যেন পৃথিবী! এই গ্রহেও হয় তুমুল তুষারপাত, ঠান্ডায় তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ১২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের বিশ্বে বিভিন্ন জায়গার পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের (Snowfall) ঘটনা অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়। এমনকি, তুষারপাতের মত ঘটনা আকৃষ্ট করে পর্যটকদেরও। এমতাবস্থায়, আপনি যদি মনে করেন যে তুষারপাত শুধুমাত্র পৃথিবীতেই হয় তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন।

বরং, পৃথিবী ছাড়াও আরও একটি গ্রহ রয়েছে যেখানে তুষারপাতের ঘটনা ঘটে। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল। মূলত, আমরা যে গ্রহটির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করছি সেটি হল মঙ্গল (Mars)। ইতিমধ্যেই সেখানে প্রাণের সন্ধানে জোরকদমে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণ অবস্থায়, মঙ্গলকে একটি শুষ্ক গ্রহ হিসেবে মনে হলেও শীতকালে লাল গ্রহটি একটি অলৌকিক ওয়ান্ডারল্যান্ডে রূপান্তরিত হয়।

Like the Earth, this planet also has heavy snowfall

মঙ্গলের মেরুতে তুষারপাত ঘটে: মঙ্গলের মেরুতে তাপমাত্রা মাইনাস ১২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসে। পাশাপাশি, ওই গ্রহে কার্বন ডাই অক্সাইড ভিত্তিক বরফ পাওয়া যায়। যাকে শুষ্ক বরফ বা ড্রাই আইস বলা হয়। এই তুষার মঙ্গলের পৃষ্ঠে পড়ে। তবে এটি সমগ্র গ্রহে পাওয়া যায় না। বরং, শুধুমাত্র মেরুগুলির কাছাকাছি পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: কবে থেকে ট্র্যাকে ছুটবে আরও অত্যাধুনিক কমলা রঙের বন্দে ভারত? দিনক্ষণ ঘোষণা করল রেল

এদিকে, এখনও পর্যন্ত কোনো অরবিটার বা রোভার লাল গ্রহে তুষারপাত দেখতে পায়নি। কারণ আবহাওয়ার এই ঘটনাটি কেবল রাতের মেঘে ঢাকা মেরুতে ঘটে। এমতাবস্থায়, কক্ষপথে থাকা ক্যামেরাগুলি মেঘের মধ্য দিয়ে দেখতে পারে না। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও রোবোটিক্স তৈরি হয়নি যা মেরুতে তীব্র ঠান্ডা তাপমাত্রায় টিকে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! ভারতে এবার সিলিং ফ্যানের জন্য এসেছে কড়া আইন, না মানলেই পড়বেন বড় বিপদে

কিভাবে জানা গেল এই ঘটনা: তবে, Mars Reconnaissance Orbiter-এর মার্স ক্লাইমেট সাউন্ডার যন্ত্রটি এমন ঘটনাও দেখতে পায় যা মানুষের পক্ষে খালি চোখে দেখা অসম্ভব। এমতাবস্থায়, ওই যন্ত্রই মঙ্গল গ্রহের মেরুতে কার্বন ডাই অক্সাইডের তুষারপাত শনাক্ত করেছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মঙ্গল গ্রহেও জলের তৈরি বরফ রয়েছে। ঠিক যেরকম আমরা পৃথিবীতে দেখতে পাই। ২০০৮ সালে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছনো ফিনিক্স ল্যান্ডার মঙ্গলের উত্তর মেরু থেকে প্রায় ১,০০০ মাইল (১,৬০৯ কিমি) দূরে তার অবস্থান থেকে জলের বরফ শনাক্ত করতে তার একটি লেজার যন্ত্রও ব্যবহার করেছিল।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর