বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদব দিল্লীর AIIMS-এ চিকিৎসাধীন। তিনি বেশ কিছু গম্ভীর রোগে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। আর এই কারণে ওনাকে সাজা থেকে মুক্ত করার দাবি আরও জোড়তাড় হয়েছে। ওনার বড় ছেলে তথা বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদব বাবার রেহাইয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেইনের পর এবার নতুন অভিযান শুরু করেছেন।
ওনার নতুন অভিযান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে পোস্টকার্ডে চিঠি লেখা হচ্ছে। যেটিকে ‘আজাদি পত্র” নাম দেওয়া হয়েছে। তেজপ্রতাপ আর ওনার বোন রোহিণী আচার্য রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে লালু প্রসাদ যাদবের মুক্তির দাবি করেছেন। উনি সবার কাছে আবেদন করেছেন যে, তাঁরা যেন রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে লালু প্রসাদ যাদবের মুক্তির দাবি করেন। তবে আজাদি পত্র লিখতে গিয়ে তেজপ্রতাপ যাদব এমন ভুল করে বসলেন, যার কারণে ওনাকে নিয়ে চারিদিকে খিল্লি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, তেজপ্রতাপ যাদব রাষ্ট্রপতিকে যেই চিঠি লিখেছেন, সেখানে তিনি নিজের বাবা লালু প্রসাদ যাদবের নাম ঠিক মতো লিখতে পারেন নি। উনি ‘আদরণীয় শ্রী লালু প্রসাদ যাদব” এর বদলে ‘আপরণীয় শ্রী লালু প্রসাদ জি” লেখেন। এছাড়াও ওনার লেখা চিঠিতে অনেক বানানের ভুল পাওয়া গিয়েছে।
জানিয়ে রাখি, তেজ প্রতাপ যাদব সবার কাছে আবেদন করে বলেছেন যে, যিনি আমাদের শক্তি দিয়েছেন, আজ ওনার জন্য শক্তি হওয়ার সময় হয়ে এসেছে। আসুন সবাই মিলে একটি অভিযান করে আমদের প্রিয় নেতার মুক্তির জন্য আবেদন করি। গরিবদের মসিহা লালু প্রসাদ জি-এর জন্য আজাদি পত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দিই।
উল্লেখ্য, তেজপ্রতাপ যাদব একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। দ্বাদশ শ্রেণীতে ফেল হওয়ার পর তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন। এছাড়াও বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। লালু প্রসাদের জ্যৈষ্ঠ কন্যা মিসা ভারতী পাটনার পিএমসিএইচ থেকে এমবিবিএস করেছেন, এছাড়াও লালুর আরেক মেয়ে রোহিনিও এমবিবিএস। তিনি জামশেদপুরের মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্স থেকে ডাক্তার ডিগ্রি হাসিল করেছেন।
এছাড়াও লালুর তৃতীয় কন্যা সন্তান চন্দা যাদব পুণে থেকে এলএলবি করেছেন। আর রাগিণী যাদব মাধ্যমিক পাশ। এছাড়াও ওনার আরেক মেয়ে হেমা যাদব বিটেক করেছেন। অনুষ্কা যাদব ইন্টিরিয়ার ডিজাইনে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। ওনার সবথেকে ছোট মেয়ে রাজলক্ষ্মী নয়ডার অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন।