- বাংলা হান্ট ডেস্ক : রান্নার গ্যাস (Cooking Gas) নিয়ে ফের একবার নয়া নিয়ম জারি করল মোদী সরকার (Narendra Modi)। সম্প্রতি জানানো হয়েছে উজ্জ্বলা যোজনা এবং সাধারণ গ্রাহকদের এলপিজি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি (Subsidy) জারি রাখতে চাইলে করতে হবে এক বিশেষ কাজ। এ কাজটি না করলেই বন্ধ হয়ে যাবে ভর্তুকি। এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ না করলেই বন্ধ হয়ে যাবে ভর্তুকি।
এই কাজ না করলে বন্ধ হবে ভর্তুকি
সূত্রের খবর, এবার থেকে গ্যাসের ভর্তুকি জারি রাখতে হলে ডিলারদের অফিসে বায়োমেট্রিক দিয়ে কেওয়াইসি জমা দিতে হবে। ডিস্ট্রিবিউটররা নিজেরাই গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে এই বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশনের কাজ সারবে। গ্যাস ডেলিভারি বয়রা বাড়িতে এসেই তাদের মোবাইল ফোনে থাকা নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে এলপিজি গ্রাহকের আঙুলের ছাপ অথবা ফেস স্ক্যান (Face Scan) করবেন।
গ্রাহকরা কি সমস্যায় পড়বেন?
এরপর সেই ছবি তারা আপ্লোড করবেন তাদের মোবাইল ফোনে থাকা নির্দিষ্ট অ্যাপে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পূর্ণ করতে হবে এই গোটা প্রক্রিয়া। ইন্ডেন এলপিজি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সব ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে এই সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। তবে এই ঘোষণার পর থেকেই উঠছে নানা ধরণের প্রশ্ন। এতে কি গ্রাহকদের কোনও সমস্যায় পড়তে হতে পারে?
আরও পড়ুন : ভিখারিদের থেকে অনুপ্রেরণা, ভিক্ষা করেই কোটি টাকার ব্যবসা খাড়া করলেন যুবতী
ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
কারণ এরকম ঘটনা হামেশাই দেখা যায় যে, ডেলিভারি বয়রা বাড়িতে বাড়িতে যখন গ্যাস দিতে যান তখন দেখা যায় যে, তিনি বাড়িতে নেই। এমতাবস্থায় কীভাবে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে? অন্যদিকে, এই প্রক্রিয়ার জন্য ৩১ ডিসেম্বর টাইমলাইন বেঁধে দিয়েছে সরকার। এদিকে নভেম্বর তো শেষের মুখে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহজুড়ে বড়দিন ও বর্ষবরণের ছুটিছাটা থাকবে। এমতাবস্থায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত গ্রাহকের বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন আদৌ সম্পন্ন হবে কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : বদলে গেল নিয়ম, এবার দিঘায় গাড়ি নিয়ে গেলে এই রুল না মানলেই মাথায় পড়বে বাজ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইমুহুর্তে ভর্তুকির টাকা সরাসরি আধার কার্ডের নম্বর মারফত গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়। তবে এখানে অনেক সময়ই দেখা যায় আধার নম্বর লিঙ্ক করা নেই। তাতে করে সমস্যায় পড়েন গ্রাহকরাও। যথাযথ সময়ে ভর্তুকির টাকা পাননা তারা। আর সেই সমস্যার সমাধান করতেই আঙুলের ছাপ সহ বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে নতুন করে জমা দিতে হবে কেওয়াইসি।