‘চুঁচুড়ার বিধায়কও অনেককে চাকরি দিয়েছেন’! শান্তনু ধরা পড়তেই অসিত প্রসঙ্গে বিস্ফোরক লকেট

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) তৃনমূল যুবনেতা ও হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ্য শান্তনু বন্দোপাধ্যায় (Santanu Banerjee) ইডি আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। আর শান্তনুর গ্রেফতারির পরেই হুগলির বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সাংসদ (MP) লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) বিস্ফোরক দাবি যে, তিনি আগে থেকেই জানতেন শান্তনু বন্দোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হবেন। তবে, লকেটের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে।

লকেট এদিন মন্তব্য করেন, “সবাই জানত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হবে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম আর ভাবছিলাম কখন গ্রেফতার হবে। কুন্তল-তাপস-শান্তনু, এটা একটা বড় চক্র। মাকড়শার জালের মতো এই চক্র ছড়িয়ে পড়েছে। সিবিআই-ইডি এখন জাল গুলো গোটাচ্ছে। রথি মহারথিরা আগামী দিনে জেলে যাবে। আমরা চাই জনতার টাকা মানুষের টাকা যারা লুঠ করেছে তাদের যেন তাড়াতাড়ি শাস্তি হয়। বাংলার মানুষ যেন এদের শাস্তি দেখতে পারেন।”

যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুর গ্রেফতারির প্রসঙ্গ ছাড়াও লকেট শাসকদলকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, “পুরো তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। চোর, ডাকাত, গুন্ডা এই দলে সবাই রয়েছে।তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে এরা সব কিছু ভুলে গিয়েছে। এই জিনিস শুধু বাংলাতেই দেখা যায়। এর পিছনে বড় বড় প্রভাবশালীরা রয়েছেন। তাদের নামগুলো শান্তনু-কুন্তল যেন তদন্তকারী সংস্থাকে বলে দেয়। আরও নেতাদের নাম বেরিয়ে আসবে।”

বলা বাহুল্য, এখানেই থেমে থাকেননি গেরুয়া শিবিরের এই নেত্রী। এরপরই বিস্ফোরক দাবি করেছেন এই বিজেপি সাংসদ। বিধায়কের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে তার সংযোজন , “হুগলি জেলার মন্ত্রী-বিধায়করাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। চুঁচুড়ার বিধায়কও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তারও অনেক রকমের অনেক কিছু পাওয়া যাচ্ছে সেও অনেককে চাকরি দিয়েছেন, এই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। আমাদের কাছে অনেক তথ্য এসেছে।” বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ দিয়েছেন লকেট, দুর্নীতির মুখোশ খুলে দেওয়ার এই প্রক্রিয়াকরন শুরু করার জন্য।

ssc issue

লকেটের মন্তব্যের বিরুদ্ধে তৃনমূলও তীব্র আক্রমণ করতে ছাড়েনি। চুঁচুড়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে বলেন, “লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কোনও লজ্জা-ঘৃণা নেই। আমার কাছে প্রায় ২১ হাজার ভোটে হেরেছেন, সেই গ্লানি এখনও মুছতে পারছেন না। সেই কারণে উলটো পালটা কথা বলছেন। ক্ষমতা থাকলে প্রমাণ করে দেখাক। উনি নিজে একজন অস্বচ্ছ মহিলা বলে এই কথা বলছেন। আমি ওঁনার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব, সেখানে সবকিছু প্রমাণ করতে হবে।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর