বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিয়রে লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Vote)। দিন যত এগিয়ে আসছে ততই জোরদার হচ্ছে লড়াই। একদিক থেকে আক্রমণ, তো অন্যদিক থেকে ধেয়ে আসছে পাল্টা আক্রমণ। এরই মধ্যেই ভোটযুদ্ধকে কেন্দ্র করে অন্য রকম লড়াইয়ে পদ্ম বনাম ঘাসফুল। বরানগরের উপনির্বাচনে ‘বিভীষণগিরি’ করছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ঠিক এমনই অভিযোগ তুলেছেন উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ (Tamoghna Ghosh)। চুপচাপ বসে থাকার পাত্র একেবারেই নন কুণাল। তিনিও দিয়েছেন পাল্টা।
সম্প্রতি জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মে যোগ দিয়েছেন বরানগরের বিধায়ক তৃণমূলের তাপস রায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তাপসের এই সৎ মনোভাবের জন্য তাকে উপহারও দিয়েছে গেরুয়া শিবির। উত্তর কলকাতা থেকে বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। ওদিকে তার যুযুধান প্রতিপক্ষ তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগেই তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় টর্নেডো তোলেন কুণাল ঘোষ। ইডি, সিবিআই কে ট্যাগ করে তৃণমূল সাংসদের গ্রেফতারির দাবিও তোলেন তিনি। যদিও হাঙ্গামার দুদিন পরই দলীয় প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ফিশফ্রাই, জলভরা সন্দেশ জমিয়ে খাওয়ার পর রাগ গেছে চুলোয়। বর্তমানে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর জন্য প্রকাশ্যে বলছেন সুদীপকেই ভোট দিতে।
ওদিকে সদ্য বিজেপিতে আসা বহুদিনের রাজনীতিক তাপস রায়কে জেতাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। বরানগর থেকে তাপস রায়ের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। সেখানে বিজেপির প্রার্থী কুণালের ‘স্নেহে’র সজল ঘোষ। কিছুদিন আগেও এই বিজেপি নেতার সমর্থনে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল কুণালকে। এই আবহে প্রথমে বিজেপি সভাপতি তমোঘ্নকে নিশানা করেন আরেক ঘোষ কুণাল।
সম্প্রতি কুণাল বলেন, ‘তৃণমূলের ছেলেরা তো বিজেপির সভাপতির প্রশংসা করছে। ও নাকি সাহায্য-টাহায্য করছে। দেওয়াল ছেড়ে দিচ্ছে। তাপস রায় যাতে হারে সেই কাজটা করছে। ওদের কোন একটা হল-এ সভাহয়েছিল সেখান থেকেই খবর এসেছে। কিছু লোককে নাকি ও বসিয়েও দিয়েছে। তবে আমি সব দলকেই বলব, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দিন।’
এদিকে কুণালের পাল্টা তমোঘ্ন বলেন, ‘তাপস রায়কে জেতানোর জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমায় উপর দায়িত্ব দিয়েছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন। তাপস রায়কে জিতিয়ে দেখাব। বাজি রাখলাম।’ তমোঘ্ন আরও বলেন, ‘বরাহনগর উপনির্বাচন এবং উত্তর কলকাতার নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে কুণাল ঘোষই আমাদের কাছে ইনপুট পাঠাচ্ছেন। তাই ওকে ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন: ‘দুই প্রোমোটারকে জেলে ভরা উচিৎ’, বিধাননগর বেআইনি নির্মাণে ১ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ
তবে এখানেই থেমে থাকেন নি বিজেপি সভাপতি। বিস্ফোরক দাবি করে বলেন, কুণাল জেলে যাওয়ার আগে এবং জেল থেকে বেরিয়ে কোন কোন বিজেপি নেতার যোগাযোগ করতেন, দক্ষিণ দিল্লিতে কার ফ্ল্যাটে যেতেন, প্রয়োজন হলে তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে দেব। এর পাল্টা কুণালের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।