বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। এবারের লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) মোট সাত দফায় হবে। আজ আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে ভোট হচ্ছে। এই ভোটের আবহেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল শিলিগুড়ি। বিজেপি বিধায়কের (BJP MLA) গাড়ি আটকানোকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা।
জানা যাচ্ছে, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের (Sikha Chatterjee) গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। এই নিয়ে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় বলে খবর। বিধায়কের গাড়ি আটকাতে রীতিমতো রাস্তায় বসে পড়ে পুলিশ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির গাড়ি আটকানো নিয়ে তুমুল অশান্তি হয় শিলিগুড়ির (Siliguri) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।
সংবাদমাধ্যমের ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, পুলিশের বাধা অতিক্রম করে কোনও মতে সেখান থেকে বেরিয়ে যায় বিধায়ক শিখার গাড়ি। এরপর রীতিমতো গাড়ির পিছনে ছুটতে শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর গাড়ি নিয়ে তাঁরা বিধায়ককে ধাওয়া শুরু করেন বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ভোট দিলেই মিলবে লুচি! ভোটারদের জন্য এলাহি লাঞ্চের আয়োজন তৃণমূলের, কোথায় গেলে পাবেন?
জানা যাচ্ছে, আজ সকাল থেকে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে ঘুরছিলেন বিধায়ক শিখা। কিন্তু শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথের সামনে তাঁকে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবার শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দেব। পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে জানানো হয়, ভোটার না হলে বুথের ভেতর ঢোকা যাবে না। কিন্তু বিজেপি বিধায়ক সেকথা মানতে চাননি বলে অভিযোগ। এরপরেই শুরু হয় বচসা।
এই প্রসঙ্গে শিখা বলেন, ’৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে দেখি পুলিশ চলে এল আমায় গ্রেফতার করতে। পুলিশের কথায়, আমি নাকি বুথের মধ্যে ঢুকছি! তাহলে যখন ঢুকছিলাম, তখনই কেন আমার গ্রেফতার করল না? আসল কথা হল, এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেন মেয়র। সেখানেই তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে পড়লে তো গৌতম দেবকে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে দেবেন? সেই জন্য শিখাকে আটকাতে হবে। আমায় নিয়ে গণ্ডগোল করে বুথ ফাঁকা করে ফলস ভোট দেওয়া পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের’।