বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার ষষ্ট দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) মিটেছে। আগামী ১ জুন সপ্তম দফা হলেই রাজ্যে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। বর্তমানে শেষদফার ভোটপ্রচারে নেমে পড়েছে কমবেশি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল। রবিবার সকালে যেমন প্রচারে বেরিয়েছিল সিপিএম (CPM)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাড়ায় প্রচার করতে যান বামেরা। কিন্তু সেখানে পুলিশের তরফ থেকে বাধা দেওয়া হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
এদিন সকালে দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের সমর্থনে প্রচারে বেরিয়েছিলেন DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ স্থানীয় সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া কালীঘাটের (Kalighat) হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটেও প্রচারে যান তাঁরা। কিন্তু সেখানে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের (Police) সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন মীনাক্ষী ও বাম কর্মী সমর্থকরা।
এদিকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি হওয়ার কারণে সেখানে নিরাপত্তার বাঁধন বেশ পোক্ত। পাড়ায় ঢোকার মুখেই আছে ব্যারিকেড। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। সেই কারণে এখানে রাজনৈতিক জমায়েত সম্ভব নয়। অভিযোগ, ১৪৪ ধারার অজুহাত দেখিয়ে সিপিএমের প্রচারে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ এই নথি জমা না দিলে মিলবে না বর্ধিত DA! নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি সরকারের, মাথায় বাজ সরকারি কর্মীদের!
এমতাবস্থায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ হয় সিপিএম কর্মীদের। ধাক্কাধাক্কিও হয় বলে খবর। সায়রা একা পাড়ায় ঢুকে লিফলেট বিলি এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার আবেদন জানালেও তাতে রাজি হয়নি পুলিশ। এতে আরও চটে যান মীনাক্ষী। গণতান্ত্রিকভাবে প্রচার করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
DYFI-এর এই দাপুটে নেত্রী বলেন, ‘যে মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন, তাঁর পাড়াতেই গণতান্ত্রিকভাবে প্রচার করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ কী দশা!’ মীনাক্ষীর প্রশ্ন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় কেন প্রচার করা যাবে না? কমিশন ঘুমোচ্ছে। একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনও সাহায্য মেলেনি’।