বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতি হিসেবে একাধিক মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকেই মিলেছিল ‘গরিবের ভগবান’ তকমা। একসময় ন্যায়বিচারের আশায় তাঁর এজলাসে হাজির হতো সাধারণ মানুষ, সেই অভিজিৎ গাঙ্গুলিই (Abhijit Ganguly) এবার হাজির হয়েছেন জনতার দরবারে। আসন্ন লোকসভা ভোটে তমলুক কেন্দ্র থেকে তাঁকে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি (BJP)। এবার এই পদ্ম প্রার্থীর এই মন্তব্য ঘিরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
বুধবার রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষ্যে নন্দীগ্রামের (Nandigram) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অভিজিৎ। সেখানেই সাধারণ মানুষকে ‘উত্তম মধ্যম’ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। বিজেপি প্রার্থীর কথায় উঠে আসে আত্মরক্ষার অধিকারের প্রসঙ্গও।
রাজনীতিবিদ হিসেবে কেরিয়ার শুরুর আগে বহু বছর আইনজীবী এবং বিচারপতির পদে আসীন ছিলেন অভিজিৎ। আইনের মারপ্যাঁচ খুব ভালো করেই জানেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যক্তিত্বই কিনা এবার বললেন, ‘মানুষ যদি আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে উত্তম মধ্যম দেন, তাহলে কোনও দোষ নেই’।
আরও পড়ুনঃ রণক্ষেত্র পূর্ব মেদিনীপুর! রামনবমীর শোভাযাত্রায় আক্রমণ, ইটবৃষ্টি! পাল্টা যা করল BJP, তুলকালাম
পুলিশ, প্রশাসন থেকে শুরু করে আদালত, প্রত্যেকে যেখানে আইন হাতে না তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন, সেখানে অভিজিতের এহেন মন্তব্য কতখানি যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
গতকালের সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে তমলুকের (Tamluk) বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘মানুষ আপনাদের দুর্নীতি, তোলাবাজির বিরুদ্ধে জেগে উঠেছেন। মনে রাখবেন,মানুষের কিছু আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষ যদি উত্তম মধ্যম দেন, তাহলে কোনও দোষ নেই। আত্মরক্ষার অধিকার আইনেই একথা বলা রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে একে বলা হয় ‘রাইট টু প্রাইভেট ডিফেন্স’। রুখে দাঁড়িয়ে দুর্বৃত্তদের শায়েস্তা করুন’। তমলুকের পদ্ম প্রার্থীর এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে চর্চা।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা ভোটে তমলুকের দিকে নজর থাকবে অনেকের। হাইভোল্টেজ এই আসনে বিজেপি টিকিট দিয়েছে অভিজিৎকে। তৃণমূল কংগ্রেসের বাজি যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। অন্যদিকে বামেরা দাঁড় করিয়েছে তরুণ আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর ত্রিমুখী লড়াইয়ে তমলুকের ভোট পর্ব একেবারে জমে যাবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।