বাংলা হান্ট ডেস্ক : সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। আগামী 13 মার্চ ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে। ভারতের উত্তরাংশে জোট নিয়ে মোটামুটি আসন ভাগাভাগির কাজ হয়ে গিয়েছে। দাক্ষিণাত্যে চলছে ঘুঁটি সাজানোর কাজ। অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (TDP), পবন কল্যাণের জনসেনা এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (Bhartiya Janta Party) মধ্যে জোটের বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় এবং সম্ভাব্য শেষ দফার আলোচনা চলছে। শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আশা করা হচ্ছে যে, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এই চুক্তির ঘোষণা করতে পারেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন, এই দুই ক্ষেত্রেই তিনটি দলের মধ্যে জোট হতে চলেছে। এরমধ্যে উল্লেখ্য যে, TDP গত 2018 সাল পর্যন্ত BJP নেতৃত্বাধীন NDA জোটের অংশ ছিল। এবার তারা সেই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করতে চলেছে। আর তাই যে আলোচনা চলেছে সেখানে উভয়পক্ষের আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা চলছে।
উভয়পক্ষই সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। আগামী দুইদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে। সূত্র মারফৎ খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, প্রাথমিক আলোচনা ছিল আসন ভাগাভাগি নিয়ে। জোটের মধ্যে BJP ছয়টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, পবন কল্যাণের নেতৃত্বাধীন JSP 2টি এবং বাকি 17টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে TDP।
আরও পড়ুন : দোলের মুখে মেগা উপহার! এক ঝটকায় বেতন বাড়ল ১৭ শতাংশ, এই কর্মীরা পাবেন বিশেষ সুবিধা
লোকসভার সাথে সাথে বিধানসভাতেও জোট গড়েই লড়বে NDA। অন্ধ্রপ্রদেশের 175 টি বিধানসভা আসনের মধ্যে BJP এবং JSP 30টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। যদিও পবণ কল্যাণের জনসেনা অধিক সিট দাবী করছে। কিন্তু TDP স্পষ্ট করেছে যে তারা মোট 145টি আসনে একাই লড়বে। লোকসভা আসনের ক্ষেত্রে বিজেপি অবশ্য বড় কয়েকটি আসন যেমন, বিশাখাপত্তনম, বিজয়ওয়াড়া, আরাকু, রাজামপেট, রাজামুন্দ্রি, তিরুপতি এবং আরও একটি আসন সুরক্ষিত করতে অধিক আগ্রহী।
আরও পড়ুন : WhatsApp-এ নবীর অপমান! তরুণকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ পাকিস্তানের আদালতের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অন্ধ্রপ্রদেশে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচন একই সাথে অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে যুবজন শ্রমিক রাইথু কংগ্রেস পার্টির (YSRCP) বিদ্রোহী এমপি কে. রঘু রাম কৃষ্ণ রাজু জানিয়েছেন, শিগগিরই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা জানানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন দলকে লক্ষ্য করে কে. রঘু রাম কৃষ্ণ রাজু তাদের ‘শয়তান’ বলে অভিহিত করেন। এবং এদের থেকে মুক্তি পেতে বিজেপি, টিডিপি এবং জনসেনা পার্টির একত্রিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন : চিনকে রুখতে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ ভারতের, লাল সেনার চিন্তা বাড়িয়ে অরুণাচলে বড় পদক্ষেপ মোদীর
অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নাইডু এবং জনসেনা প্রধান পবন কল্যাণ বৃহস্পতিবার শাহ ও নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সিনিয়র টিডিপি নেতা ও রাজ্যসভার সদস্য কে. রবীন্দ্র কুমার শুক্রবার বলেছিলেন যে বিজেপি, জনসেনা এবং তার দল নীতিগতভাবে আসন্ন নির্বাচনে একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।