বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিজ্ঞানের সাম্প্রতিকতম আবিষ্কার মোবাইল ফোন। এটি আসলে প্রচলিত টেলিফোনের এক নবতম সংস্কার। প্রত্যেক জিনিসের একটি নেতিবাচক দিক থাকে। মোবাইলফোনে তার ব্যতিক্রম নয়।অক্টোবরের গোড়ার দিকে তপসিয়া রোড ও রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের দু’টি ভুয়ো কলসেন্টারে হানা দিয়ে মোট সাতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই দু’টি সংস্থাই নিজেদেরকে মাইক্রোসফট অধীনস্থ সংস্থা বলে পরিচয় দিয়ে লন্ডন ও আমেরিকার গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছে। এখানেই ধরা পড়েছে এক বিশাল চক্র। পুলিশ কর্তা মুরলীধর শর্মা বলেন, “তথ্য পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে আমরা কিনারা করেছিলাম। এবার চার্জশিট দেওয়ার পালা।”
এই চিঠি সম্পর্কে এবং নিজেদের কর্মদক্ষতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বলেন, “আমার যেটা কাজ সেটা আমি করেছি। তবে লন্ডন সিটি পুলিশের এই চিঠি নিঃসন্দেহে আমার টিমকে আরও উজ্জীবিত করবে।”
কলকাতায় চলছে সাইবার প্রতারণার বড় চক্র। লন্ডন সিটি পুলিশ এ ব্যাপারে অবগত করেছিল কলকাতা পুলিশের সদর দফতরকে। আর এর চক্রটি আরো কত দূর বিস্তৃত তা এখনো অজানা। সেই মতো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করেছিল লালবাজার। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মাকে অভিনন্দন জানিয়ে লন্ডন থেকে চিঠি এল লালবাজারে। আসলে কলকাতা পুলিশ এ কত ধরনের দক্ষতা জানে তা এখনো অজানাই ছিল। বুধবার তা গর্বের সঙ্গে টুইট করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
বর্তমানে সাইবার ক্রাইমের অপরাধটা বেড়ে গেছে যে আতংবাদি গোষ্ঠীর কাছে কিভাবে মুহুর্তের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে তথ্য তা অবিশ্বাস্য।
সাইবার প্রতারণার আখড়া চলছিল কলকাতায়। কল সেন্টারের আড়ালে চলত দুনিয়া জুড়ে লোক ঠকানোর ডিজিটাল কারবার। কয়েক হাজার লন্ডনবাসীকে বোকা বানিয়ে লক্ষ লক্ষ পাউন্ড হাতিয়ে নিচ্ছিল এই চক্র। ২৩ হাজার নাগরিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন লন্ডন পুলিশে।তারপরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন তারা তদন্তে নেমে দেখেন, সবটাই হচ্ছে কলকাতায় বসে। জানানো হয় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। ঠিক তিন দিনের মধ্যে ওই চক্রের কিনারা করে ফেলে কলকাতা পুলিশ। আগেই ফোন করে লন্ডন পুলিশের কর্তারা কলকাতার নগরপালকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। এবার এল লিখিত চিঠি।