বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাওড়ায় সিন্ডিকেট রাজে পুরসভায় আয় কমে তলানিতে। ৩ বছরে পুরসভার কোষাগারে জমা পড়েনি একটা কানা কড়িও। ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে বাড়তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি টাকায়।
২০১৮ সাল থেকেই নির্বাচিত পুর বোর্ড নেই হাওড়া শহরে। ফলে কাজ কর্ম যে সেই অর্থে কিছুই হয় না তা বলাই বাহুল্য। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিম্নমুখী আয়ও। মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া বাকি সমস্ত দপ্তরেরই ভাঁড়ে মা ভবানী। এরকমই একটি দপ্তর হল পার্কিং দপ্তর। আগে যেখানে এই দপ্তর থেকে পুরসভায় আয় ছিল বার্ষিক ১ কোটি টাকা, গত ৩ বছরে এক পয়সাও না পেয়ে এই খাতে ক্ষতির পরিমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা।
হাওড়ার মতন ঘিঞ্জি শহরে পার্কিং প্লেসের এমনিতেই ভীষণ অভাব। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রায় ২০০ টি পার্কিং প্লট নিজস্ব রয়েছে পুরসভার। এতগুলি পার্কিং প্লেস থাকা সত্ত্বেও শূন্য কেন ভাঁড়ার? জানা যাচ্ছে, কোনও বেসরকারি সংস্থাকেই পার্কিং চার্জ আদায়ের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়, কিন্তু ৩ বছরে বার বার টেন্ডার হাঁকা হলেও সাড়া মেলেনি একবারও। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পার্কিং এর ফি আদায়।
পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সিন্ডিকেটের স্থানীয় তোলাবাজদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর ভয়ে এই ব্যবসায় কেউ আর আসতে চাইছে না। এখন স্থানীয় তোলাবাজেরাই পার্কিং থেকে টাকা তুলছে অবাধে। পুরসভার নিজস্ব পরিকাঠামো না থাকায় এটা আটকাতে পারছে না। পুলিশও সব জেনেশুনে চুপ করে আছে।’
বৈধ কোনও ফি না থাকায় শহরের ব্যস্ত এলাকাগুলিতে রমরমিয়ে চলছে সিন্ডিকেট রাজ। মঙ্গলাহাট, হাওড়া স্টেশন ইত্যাদি ব্যস্ত এলাকাগুলিতে গজিয়ে উঠছে অস্থায়ী অবৈধ পার্কিং প্লট। সেখান থেকেই মোটা টাকা কামাচ্ছে সিন্ডিকেট। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই এই কাজ চালাচ্ছে স্থানীয় সিন্ডিকেটের লোকজন। পুলিশ ব্যাপারটি ‘দেখছে’ বললেও তাতে আর ভরসা রাখতে পারছেন না স্থানীয় মানুষ। ফলে এই সমস্যার সমাধান যে আপাতত বিশ বাঁও জলে তা একপ্রকার বলাই বাহুল্য।