বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২ মে ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে হিংসার অজস্র ঘটনা সামনে এসেছে। বিরোধীদলের কর্মী-সমর্থকদের উপর নেমে এসেছে শাস্তির খাড়া। বিশেষ করে বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা বেশি করে আক্রান্ত হয়েছেন। আর শাসক দলের আতঙ্কে এখনও ঘর ছাড়া অনেকেই। উত্তর বঙ্গের কোচবিহার থেকে হাজার খানেক বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বাংলার সীমান্ত পেরিয়ে অসমের ধুবড়ি জেলার রণপাগলি এবং পোকালাগ স্কুলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
অসম বিজেপির নেতারা তাঁদের সুরক্ষিত থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন। পাশে দাঁড়িয়েছে অসমের প্রশাসনও। এছাড়াও অসমের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তথা বিজেপির বিধায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই বিষয়ে নজর রাখছেন। বিধানসভার ফল ঘোষণার পর দেখা যায় যে, কোচবিহার জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টিতে জয়ী হয়েছেন বিজেপির প্রার্থীরা। অসম সীমান্ত লাগোয়া তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী মালতী রাভা জয়ী হয়েছেন।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের ভয়ে বালাভূত, গোপালের কুঠি, ঝাউকুঠি, মহিষকুচি থেকে কয়েকশো বিজেপির সমর্থক পরিবার বাংলা ছেড়ে অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে তাঁদের নিশানা করে তৃণমূল। আর এই কারণেই তাঁরা বাড়িঘর ছেড়ে ভিন রাজ্যে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।
বিজেপির বিধায়ক তথা কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা জানান, ‘অসমের সীমান্তের পাশে থাকা কোচবিহারের গ্রামগুলির অবস্থা প্রচণ্ড ভয়ানক। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ভয়ে অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক তাঁদের গোটা পরিবার নিয়ে অসমে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা এই দুঃসময়ে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অসম সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
যদিও মালতী রাভা এবং বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা শীতলকুচির বিধায়ক পার্থপ্রতিম রায়। তিনি জানিয়েছেন, ফল প্রকাশের আগেই অনেক মানুষ আতঙ্কে অসমে চলে গিয়েছে। আর বিজেপি ঘটনাটিকে বেশি করে হাইলাইট করছে।