বর্ধমানে CID অভিযান! জাল লটারি মামলায় গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত

Updated on:

Updated on:

Lottery fake case another accused from Burdwan has been caught in the CID's net
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে জাল লটারি (Lottery) চক্র চলছে। যার ফলে গোপন তল্লাশি চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। এই তল্লাশি চালিয়ে পূর্ব বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করেছে জাল লটারি কাণ্ডের আরও এক অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম লালন শাহ ওরফে মহম্মদ নুরুল ইসলাম। অভিযুক্ত পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার দক্ষিণসুরা গ্রামের পীরতলা এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

জাল লটারি মামলায় CID-এর জালে বর্ধমানের আরও এক অভিযুক্ত (Lottery)

সূত্রের খবর, পুলিশে হেফাজতে থাকাকালীন রাজকুমার ঢালি ওরফে  রাজুকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডি একটি টিম গঠন করেন। শনিবার রাতে লালনের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সেই টিম। সেখান থেকেই গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। অভিযুক্তের কাছ থেকে ২৯ টি ভুটান রাজ্যের জাল লটারির টিকিট উদ্ধার হয়েছে (Lottery)।

Lottery fake case another accused from Burdwan has been caught in the CID's net

আরও পড়ুন: বারবার ধুলেও মিক্সি থেকে মশলার ঝাঁঝ যাচ্ছে না? জেনে নিন ৩ কার্যকর টোটকা

যদিও রবিবার দ্রুত লালন ও রাজকুমারকে বর্ধমান সিজিএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনের জন্য যার লটারির কারবারে সম্পর্কে বিশদে জানতে লালন কে দশ দিনের জন্য হেফাজতের আর্জি জানিয়েছে সিআইডি। তবে শেষমেষ ধৃতকে দুদিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।

এছাড়াও সিআইডির সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ৩ ডিসেম্বর পূর্ব বর্ধমানের রায়না বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজকুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রাজকুমার আদতে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার তেলিহাটির বাসিন্দা। বর্তমানে রায়না বাস স্ট্যান্ড এলাকায় থাকতেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালিয়ে অভিযোগ তার কাছ থেকে বেশ কিছু সংখ্যক যার লটারি টিকিট, নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করেছিল সিআইডি।

সিআইডির অভিযোগের ভিত্তিতে, মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করে রায়না থানার পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন ৪ ডিসেম্বর রাজকুমারকে আদালতে পেশ করে দুদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এই মামলা তদন্তভার পুলিশের হাত থেকে যায় সিআইডির কাছে। তবে সিআইডি তরফ থেকে মনে করা হচ্ছে, এই জাল লটারি (Lottery) বিক্রির চক্রে আরও বড় কোন মাথা জড়িয়ে রয়েছে। সেই বিষয়ে এখনও তল্লাশি চলছে।