মমতা-অভিষেকের ছবি দিয়ে লটারির কুপন বিক্রি! কুলপিতে যা হচ্ছে শুনলে থ হবেন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লটারির টিকিট বিক্রি করে প্রতারণার অভিনব কৌশল। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিকে হাতিয়ার করে প্রতারণার ছক কষেই বেশ ফুলেফেঁপে উঠেছিল কুলপির (Kulpi) যুবক চন্দন দাসের লটারির টিকিট বিক্রির ব্যবসা। অভিনব উপায়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকার লটারির কুপন বিক্রি করেছিল যুবক। কিন্তু কথায় আছে ‘চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা।’ এই যুবকের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হল।

কুলপিতে (Kulpi) প্রতারণার অভিনব কৌশল

প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করলেও শেষ রক্ষা হলো না। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে সে। তদন্তকারীদের দাবি তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের ছবি দিয়ে কুপন ছাপিয়ে বিক্রি করত চন্দন। সবচেয়ে মজার বিষয় লটারির টিকিটের মত দেখতে ওই কুপনে কোন বিক্রয় মূল্য লেখা থাকত না। এক একজনের কাছ থেকে একেক রকম দামে ওই  কুপন বিক্রির টাকা নিত যুবক।

রবিবার তাকে ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তাকে। এছাড়া যে ছাপাখানায় ওই কুপন ছাপানো  হয়েছিল তার মালিককেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে চন্দন তৃণমূলের বিভিন্ন পার্টি অফিসে গিয়ে দলের মুখপত্র পৌঁছে দিত। সেই সুবাদে দলের বিভিন্ন নেতা-নেত্রী তাকে চিনতেন।

অভিযোগ ওই কুপন বিক্রি করে বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষে আলাদা পরিমাণ টাকা নিত ওই যুবক। জানা যাচ্ছে, একই কুপন বিক্রি করে কারও কাছ থেকে ২ হাজার টাকা আবার কারও কাছ থেকে ৪ হাজার টাকাও নিয়েছে কুলপির (Kulpi) ওই যুবক। লটারির কুপনে পুরস্কার হিসেবে দামি গাড়িসহ অন্যান্য দামি সামগ্রির ছবি দেওয়া থাকত। তাই দামি উপহার পাওয়ার প্রলোভনে পড়ে অনেকেই ওই কুপন কিনতেন।

আরও পড়ুন: দিনভর চলল স্পেশাল ড্রাইভ! একদিনেই এক লক্ষের বেশি জরিমানা আদায় করল পুলিশ

প্রশ্ন উঠছে লটারি টিকিটের মত দেখতে ওই কুপনে হঠাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি কেন ছাপিয়েছিল চন্দন? পুলিশের দাবি মূলত বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করার জন্যই প্রতারণার এই অভিনব কৌশল নিয়েছিল সে।

Kulpi

কিছুদিন আগে কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের নিরাপত্তা রক্ষী তুফান হালদারও চন্দনের কাছ থেকে চার হাজার টাকার বিনিময়ে লটারির কুপন কিনেছিলেন। পরে সন্দেহ হওয়ায় কুলপি থানায় প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে শনিবার রাতে চন্দনকে ডায়মন্ড হারবার থেকে গ্রেফতার করে। 

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর