ধারের টাকাই বদলে দিল ভাগ্য! ৬০ টাকার টিকিট কেটেই কোটিপতি দিনমজুর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : “রোজ কত কী ঘটে যাহা-তাহা,এমন কেন সত্যি হয় না, আহা। ঠিক যেন এক গল্প হত তবে, শুনত যারা অবাক হত সবে…,” গল্পের দেশে আমরা সবাই স্বপ্নের দুনিয়ায় বিরাজ করতে ভালোবাসি। কিন্তু বাস্তবের মাটি বড়ই কঠিন। বাস্তবের মাটিতে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে ওঠে ঝলসানো রুটি। কিন্তু এমন অনেক কিছুই মাঝেমধ্যে ঘটে যায় যা হার মানায় রূপকথাকেও।

ঠিক যেমনটা ঘটেছে মঙ্গলকোটের এক দিনমজুরের সাথে। ছাগলের জন্য জমিতে গিয়েছিলেন ঘাস কাটতে। সেই সময় তার কাছে টাকা না থাকায় ধার করে কিনে ফেলেন লটারির টিকিট। তারপর এই দিনমজুরের সাথে যা ঘটল তা যেন এক রূপকথার কোনও উপন্যাস। ধার করে কেনা সেই লটারির টিকিটে মঙ্গলকোটের খুর্ত্তুবাপুর গ্রামের বাসিন্দা ভাস্কর মাঝি জিতে নিলেন কোটি টাকার পুরস্কার।

আরোও পড়ুন : ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড, হিসেব নেই ৫৪ কোটির! ধর্নার দিন তৃণমূলকে পাল্টা দিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী

মঙ্গলকোটের বাসিন্দা ভাস্কর মাঝির পরিবার হতদরিদ্র। গোটা পরিবার যে বাড়িতে থাকে তার চাল ফুঁটো, পূর্ণিমা রাতে যেমন সেই চাঁলের ফাঁক দিয়ে দেখা মেলে মায়াবী চাঁদের, তেমনই বর্ষার দিনে সেই ফুঁটো দিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে বৃষ্টির জল। ভাস্কর মাঝির জীবিকা বলতে অন্যের জমিতে কাজ করা আর ছাগল চাষ।

আরোও পড়ুন : বন্ধ হতে চলেছে জি বাংলার দুটি জনপ্রিয় সিরিয়াল! মন খারাপ দর্শকদের

লটারি জেতার পর ভাস্কর বাবুর স্ত্রী সুমিত্রা মাঝি বলছেন, “খুব কষ্ট করে সংসার চালাতে হয় আমাদের। স্বামী মাঝেমধ্যে লটারির টিকিট কিনতেন। এই নিয়ে অনেক অশান্তিও হত। তবে লটারি টিকিটেই যে আমাদের সুদিন আসবে ভাবতে পারিনি। ঈশ্বর মুখ তুলে চেয়েছেন।” ভাস্কর মাঝির দুই মেয়ে নয়ন দেবী ও কল্পনা দেবীও বেজায় খুশি বাবার লটারি জেতার ঘটনায়।

indiatv5fdd42 lottery

ভাস্কর বাবু জানিয়েছেন, এদিন তিনি ছাগলের ঘাস কাটার জন্য গিয়েছিলেন নপারা বাস স্ট্যান্ডের কাছের জমিতে। এরপর ন’পাড়া বাস স্ট্যান্ড লাগেয়া একটি দোকান থেকে ধারে লটারির টিকিট কেনেন। লটারির দোকানের মালিক মমিজুল শেখ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আমার থেকে মাঝে মাঝে টিকিট কিনতেন ভাস্কর দা। ওর কাছে আজ টাকা না থাকায় ধারে টিকিট নিয়ে গিয়েছিল। খুব খুশি ও লটারি জেতায়।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর