বাংলাহান্ট ডেস্ক : লটারিতে (Lottery) এক যুবকের ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডিলার সেই টাকা দিতে গড়িমসি করছিল। শেষ পর্যন্ত লটারি টাকা হাতে না পেয়ে মানসিক অবসাদে (Mental Depression) এক যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহননের (Suicide) পথ বেছে নিলেন। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের (Asansol) হিরাপুর থানার আলুঠিয়া গ্রামে। এই ঘটনার ফলে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রাম জুড়ে। রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪১ বছর বয়সী মৃত যুবকের নাম উজ্জ্বল লায়েক। তার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। পুলিশ জানিয়েছে সেই চিঠিতে যুবক লটারি কাটা থেকে পুরস্কার পাওয়ার সমস্ত কথা লিখে গেছেন। এমনকি লটারির বিক্রেতার নামও রয়েছে সেই চিঠিতে। জানা গিয়েছে, হিরাপুর থানার আলুঠিয়া গ্রামে স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকতেন পেশায় গাড়িচালক উজ্জ্বল। চলতি মাসের ৪ তারিখে তিনি চাপড়া গ্রামের বাসিন্দা, লটারি বিক্রেতা বিপদ ঘোষের কাছ থেকে কেনেন ভিন রাজ্যের লটারির টিকিট।
প্রকাশ্যে অভিযোগ এসেছে যে, প্রথমে লটারি বিক্রেতা উজ্জ্বলকে বলেন যে তিনি পুরস্কার বাবদ পেয়েছেন ১৪০০ টাকা। সেই মুহূর্তে বিক্রেতা উজ্জ্বলকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন বাকি টাকা পরে দেবেন। এরপর, উজ্জল খবর পান যে তিনি ১৪০০ নয়, লটারিতে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন। কিন্তু বিপদ ঘোষ সেই কথা সম্পূর্ণ চেপে যান। এরপর অনেক চাপাচাপি করলে লটারি বিক্রেতা বিপদ উজ্জ্বলকে ক্রমাগত ঘোরাতে থাকেন।
সূত্রের খবর, বহুবার ওই লটারি বিক্রেতার কাছে টাকা চাইতে গিয়েছিলেন উজ্জ্বল। কিন্তু কোন টাকা দেননি লটারি বিক্রেতা। এরপর মঙ্গলবার রাতে বাড়ির তিন তলায় কার্নিশে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় উজ্জ্বলকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হিরাপুর থানার পুলিশ। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, লটারি বিক্রেতা বিপদ ঘোষ এই ঘটনার পর থেকে ফেরার। পুলিশ তার পরিবারের লোকেদের আটক করে বিপদ ঘোষের সন্ধান চালাচ্ছে।