বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোরখপুর মেডিক্যাল কলেজে অ্যাম্বুলসেন্সে মৃতদেহ ছেড়ে পালানো যুবকের বিরুদ্ধে মৃতার পিতা বুধবার অভিযোগ দায়ের করেছে। কুশিনগরের রামকোলার বাসিন্দা ইন্দ্রদেব অভিযোগ করে বলেছেন যে, অভিযুক্ত যুবক নিজের পরিচয় লুকিয়ে তাঁর মেয়েকে প্রেমের জালে ফাঁসায়। মৃতার পিতার অভিযোগের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার বিকেলে চণ্ডীগড় পিজিআই থেকে এক যুবক অ্যাম্বুলেন্সে করে মহিলাকে নিয়ে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছায়। ডাক্তাররা মহিলাকে মৃত ঘোষণা করলে যুবক ট্রমা সেন্টার থেকে স্লিপ নেওয়ার নাম করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আরেকদিকে, অ্যাম্বুলেন্স চালক গোটা রাত যুবকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সোমবার সকালে অ্যাম্বুলেন্স চালক পুলিশের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন।
অ্যাম্বুলেন্স চালক পুলিশকে জানান যে, পলাতক যুবক নিজের নাম রাকেশ আর মহিলাকে নিজের স্ত্রী সুধা বলে পরিচয় দিয়েছিল। তদন্তের পর অভিযুক্তের আসল নাম মেহতাব বলে জানা যায়। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তাঁর গ্রামে গেলে, অভিযুক্তের বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখে। পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স চালকের বয়ান দায়ের করে দেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠায়।
সংবাদ মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর বুধবার মৃতার বাবা ইন্দ্রদেব গুলরিহা থানায় যান। তিনি মহিলাকে নিজে মেয়ে সুধা (২৫) রুপে সনাক্ত করেন। তিনি বলেন, সুধার বিয়ে আট বছর আগে মহরাজগঞ্জের পিন্টুর সাথে হয়েছিল। পিন্তু রাজস্থানে মজদুরি করত। সুধা বাপের বাড়িতেই থাকত। ইন্দ্রদেব অভিযোগ করে বলেন যে, তিনমাস আগে মেহতাব সুধাকে নিজের নাম পরিচয় গোপন রেখে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে নিয়ে পালায়। আর তখন থেকে তাঁরা লুধিয়ানাতে বসবাস করত।