বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের এক হিন্দু তরুণী জীবন দিতে হল তাঁরই মুসলিম পুরুষ বন্ধুর হাতে। দিল্লির পর এবার জম্মু-কাশ্মীরে উঠল লাভ জিহাদের(Love Jihad) অভিযোগ। ২৬ বছরের দন্তচিকিৎসক তরুণীকে কুপিয়ে খুন করল তাঁর পুরুষ বন্ধু জোহার গানাই (Johar Ganai)। ওই তরুণীর নাম সুমেধা শর্মা (Sumedha Sharma)। ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) জানিপুর শহরে।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত জহর গানাই-এর বাবার নাম মেহমুদ গানাই। তিনি ভাদেরওয়া এলাকায় থাকেন। জম্মু-কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হোলির দিন। সেদিন সুমেধা পাম্পোর কলোনিতে জোহারের বাড়ি পৌঁছালে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। সেদিন দুজনের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি চলছিল। হঠাৎই রান্না ঘর থেকে মাংস কাটার ছুড়ি নিয়ে এসে সুমেধার উপর ঝাঁপিয়ে পরে জোহার। কুপিয়ে হত্যা করে নিজের বান্ধবীকে। তারপর সে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানা যাচ্ছে।
জোহার বান্ধবী সুমেধাকে খুন করার পর একটি ফেসবুক লাইভ করে। সেখানে জানায় জীবন সম্পর্কে সে বীতশ্রদ্ধ। তাই নিজেকেও সে শেষ করে দিতে চায়। এই লাইভ দেখতে পান জোহারের এক আত্মীয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই জানিপুর থানায় খবর দেন। দ্রুত পুলিস পৌঁছায় জোহারের বাড়িতে। পুলিস আধিকারিকরা দেখতে পান বাড়ির মূল দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।
দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখতে পান তাঁরা। নিজের তলপেটে ছুরির আঘাত করে মাটিতে লুটিয়ে আছে জোহার। তার অবস্থা সংকট জনক। একটু দূরেই পড়ে আছে সুমেধা শর্মার দেহ। তারও তলপেটে ছরির আঘাতের চিহ্ন। শরীর ভেসে যাচ্ছে রক্তের স্রোতে। দ্রুত জোহারকে জম্মু কাশ্মীরের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলছে তার। তবে অবস্থা এখনও সংকটজনক। সুমেধার দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিস।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ নম্বর ধারায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে সুমেধা এবং জোহার সম্পর্কে ছিলেন। দুজনেই পেশাগত ভাবে ডাক্তার ছিলেন। জানা যাচ্ছে, হোলির ছুটিতে বাড়ি ফিরে অভিযুক্ত জোহারের বাড়ি যায় সুমেধা। কোনও বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হয়, আর তার পরই খুন হতে হয় ওই তরুণীকে।
Made in India