বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে এক প্রেমিক তা প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যেতে গিয়েছিল, কিন্তু প্রেমিকার বদলে প্রেমিকার মা’কে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। রাঁচিরর তুপুদুনা থানা এলাকা ঘুটিয়া গ্রামে এক নাবালিকা মেয়েকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার মামলা সামনে আসে। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে ওই এলাকায়।
বিহারের নালন্দা থেকে পরিকল্পনা মাফিক প্রেমিক গাড়ি ভাড়া করে গ্রামে গিয়েছিল। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিহার থেকে ঝাড়খণ্ডে আসা প্রেমিক নাবালিকা প্রেমিককে গাড়িতে বসিয়ে নিয়ে যেতে নিয়েছিল, তখন প্রেমিকার মা তাঁদের দেখে ফেলে। নাবালিকার মা যখন তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে, তখন চন্দন গাড়ির ড্রাইভারের সাহায্য নিয়ে প্রেমিকার মা’কে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর তাঁরা সেখান থেকে রিং রোডের দিকে রওনা দেয়। কিছুদূর গিয়ে চন্দন প্রেমিকার মা’কে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। প্রেমিকের পিছু নেওয়া প্রেমিকার পরিবার SSP কে ঘটনার কথা জানায়।
এরপর SSP-এর নির্দেশে রং রোডের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে প্রেমিকের গাড়ির নম্বর বের করা হয়। এরপর পুলিশ রিং রোডে ব্যারিকেন্ডিং করে যাতায়াত করা গাড়ির তল্লাশি শুরু করে। কিছু সময় পর একটি গাড়ি দেখতে পারে পুলিশ। গাড়িটিকে থামিয়ে তল্লাশি নেওয়া হলে প্রেমী যুগলকে উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রেমী যুগলকে পুলিশ হেফাজতে নেয় আর গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। নাবালিকা মেয়েটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চন্দন নিজেকে বিবাহিত বলে দাবি করে। চন্দন বলে, দিল্লীর বালাজি মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেছে। চন্দন জানায়, মেয়ে নাবালিকা হওয়া কারণে তাঁরা আদালতে বিয়ে করতে পারেনি। জানিয়ে দিই, এর আগেও চন্দন দুবার ওই নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। এর আগে নালন্দার কতরি থানায় চন্দনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। চন্দনকে গ্রেফতার করার পর রাঁচি পুলিশ নালন্দা পুলিশকে খবর দেয়। নালন্দার পুলিশ টিম রাঁচি যাবে বলে জানিয়েছে।
চন্দন পুলিশকে জানায় যে, ২০১৭ সালে ভাইয়ের বিয়েতে দুজনের সাক্ষাৎ হয়। দুজনে একে অপরের মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান করে। মেয়ের পরিবার এই কথা জানতে পেরে মেয়েটিকে দিল্লীতে তাঁর বাবার কাছে পাঠিয়ে দেয়। মেয়েটি দিল্লী যাওয়ার পর চন্দনও দিল্লী যায়। দুজনে লুকিয়ে লুকিয়ে মোবাইলে কথা বলত। ২০২০ এর ছয় ডিসেম্বর বালাজি মন্দিরে দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। অনেক খোঁজার পর পরিবার নাবালিকার খোঁজ পায়। এরপর সেখান থেকে তাকে আবার রাঁচিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।