বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান বাজারে সবকিছুই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। মাছ মাংস ডিম সবজি সব দামেই বাড় বাড়ন্ত। আর এই অগ্নি মূল্যের বাজারে ভোজ্য তেলের দামও কিন্তু কম নয়। যা ছাড়া রান্না অসম্ভব। আর এই দামের চক্করে পড়ে মধ্যবিত্তদের হেঁসেলে ধরেছে ঘুণ। কারণ ভালো-মন্দ খাওয়ার কথা ভাবলেই যেন ভয় ধরে। তবে এবার গৃহিণীদের জন্য রইল বিরাট সুখবর। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোজ্য তেলের (Oil) দাম কমতে পারে, তাও আবার ৯%। এই দাম মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দেবে।
ডিসেম্বরে তেলের (Oil) দাম কমবে ৯ শতাংশ:
আশা করা হচ্ছে, টানা চার মাস পর ভোজ্য তেলের দাম কমতে পারে। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেল, সানফ্লাওয়ার তেল (Sunflower Oil) এবং পাম তেলের দাম অনেকটাই কমেছে। এরফলে, ভারতের বাজারে এই দাম কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু তেলের চাহিদা মেটাতে ভারত বিভিন্ন দেশ থেকে তেল আমদানি করে থাকে। যার ফলে এই দামের প্রভাব ভারতের বাজারেও পড়বে। তবে এই দাম কমার পিছনেও রয়েছে কারণ।
ঠিক কি কারণে তেলের দাম কমলো:
তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার (South America) দেশগুলিতে প্রচুর পরিমাণে সয়াবিন উৎপাদন হয়। তবে এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় সয়াবিন উৎপাদন রেকর্ড গড়েছে। আর যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই দাম কমেছে সয়াবিন তেলের (Soybean oil) । পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় পাম তেলেরও দাম কমেছে। বিগত কয়েক সপ্তাহের নমুনা তাই বলছে। কিন্তু দাবি করা হচ্ছে পাম তেলের দাম কমেছে অন্য কারণে।
আরো পড়ুন : বয়স শুধুই সংখ্যা মাত্র, ৮০-র দোরগোড়ায় এসে বলিউডে কামব্যাক করছেন শর্মিলা
পাম তেলের (Palm Oil) দাম কমার পিছনে রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ:
এই বিষয়ে বিশেষ কিছু কারণ উঠে আসছে। প্রথমত, বায়োফুয়েলে পাম তেলের ব্যবহার করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে, ডিজেলের সঙ্গে পাম তেলের ব্যবহার করে বায়োডিজেল তৈরি করা হচ্ছে। আগে এখানে বায়োডিজেলে ৩৫ শতাংশ পাম তেলের ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে সরকার সেই তেলের ব্যবহার ৪০ শতাংশ করেছে। তবে এই বিষয়ে পরিবেশবিদরা ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছে। ফলে এই ব্যবহার কমে গেছে আর পাম তেলের দামও কমে গেছে।
আরো পড়ুন : রাজের কোলে একরত্তি নবজাতক, মেয়ে ইয়ালিনীর জন্মদিনেই বিরাট সারপ্রাইজ ‘রাজশ্রী’ জুটির
এ বিষয়ে কি বললেন সন্দীপ বাজারিয়া:
তেলের দাম কমা নিয়ে, অয়েল ট্রেডিং কোম্পানির কর্তা সন্দীপ বাজারিয়া বলেছেন, “গত একপক্ষ কালে সানফ্লাওয়ার তেলের প্রতি টনের দাম ১৩০০ ডলার থেকে কমে ১২০০ ডলার হয়েছে। সয়াবিন তেলের প্রতি টনের দাম ১২৩০ টাকা থেকে কমে ১১৩০ ডলার হয়েছে। একইভাবে পাম তেলের দামও প্রতি টনে ১০০ ডলারের বেশি কমেছে। এমনকি দেশের হোলসেল বাজারে সর্ষে তেলের দাম কমেছে। এখন সর্ষে তেলের প্রতি লিটারের দাম কমে এসেছে ১৩৬ টাকা। ডিসেম্বরে মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ভোজ্য তেলের দাম ৮ থেকে ৯ শতাংশ কমা উচিত।