বাংলাহান্ট ডেস্ক : কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝির (Anup Majhi) সঙ্গে পরিচয় ছিল মলয় ঘটকের। বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনুপের কাছ থেকে নাকি মাসে ৭৫ লাখ টাকা নিতেন মলয় ঘটক। সিবিআই-এর (CBI) বাজেয়াপ্ত ডায়েরিতে এমনই উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে অনুপ মাঝির একটি ডাইরির কথা বলে। সেই ডায়েরিতে ‘এম ঘটক’ বলে একটি নাম উল্লেখ রয়েছে। শুভেন্দুর আরও দাবি করেন শুধু মলয় ঘটকই নয়, বেশ কিছু তাবড় পুলিশ কর্তাদের নাম সে ডাইরিতে আছে বলে তথ্য সামনে এসেছে। বলেও জানান শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু আরও বলেন, ‘তবে সিবিআই কী ভাবে তদন্ত করবে বা কার বাড়িতে হানা দেবে তা একান্তই তদন্তকারীদের বিষয়। এ ব্যাপারে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই।’
জানা যাচ্ছে, কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝির ডায়েরির সূত্র ধরেই বুধবার মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই টিম হানা দেয়। সিবিআই-এর বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনুপ মাঝির ডায়েরি থেকেই মলয় ঘটকের নাম উঠে আসে তদন্তে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, প্রতি মাসে অনুপ মাঝির থেকে হাত ঘুরে মোটা অঙ্কের লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা যেত মলয় ঘটকের কাছে।
এত বিপুল টাকা কেন দেওয়া হত? কোন কোন অ্যাকাউন্টে যেত এই টাকা? কি উদ্দেশ্যেই বা এই লেনদেন? এই সব বিষয় জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। এই সূত্রেই বুধবার সকাল আটটা থেকে কলকাতা-সহ আসানসোলের মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই অভিযান চালায়। বুধবার সাতসকালেই সিবিআই টিম লেক গার্ডেন্সে পৌঁছে যায়।
মন্ত্রী মলয় ঘটকের আসানসোল ও কলকাতার একাধিক বাড়িতে একযোগে চলে তল্লাশি। মলয় ঘটকের একাধিক বাড়িতে সিবিআই হানা দিতেই তাঁর সম্পত্তি নিয়েও শোরগোল শুরু হয়। সিবিআই চলে যাওয়ার পর মন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেন, কলকাতায় তাঁর সরকারি আবাসনে হানা দিয়ে নগদ ১৪ হাজার টাকা পেয়েছে সিবিআই ৷ মলয় ঘটক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমার সবকিছুই স্বচ্ছ। কোনও অস্বচ্ছতা নেই।’