বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিনি সোশ্যাল মিডিয়া হার্টথ্রব। একদিকে যেমন তিনি দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, অন্যদিকে তেমনি একের পর এক ভিডিওতে সরাসরি বহু মানুষের প্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ফেসবুক লাইভের অপেক্ষায় থাকেন অনেকেই। তবে নিজের ফেসবুক লাইভে আলটপকা মন্তব্যের জন্য ইতিমধ্যেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বকা খেতে হয়েছে মদন মিত্রকে। কয়েকদিন আগেই একটি লাইভ থেকে মদন মিত্র বলেন, ‘‘কামারহাটির পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব পেলে তিন মাসের মধ্যে এই পুরসভাকে কলকাতা পুরসভার থেকে উন্নত করে তুলব।’’ আর তারপর শুরু হয় বিতর্ক। সেই কথা উঠে আসে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকেও। সোজা ভাষায় দলনেত্রী জানান, ফেসবুকে যা খুশি বলা যায়না। যদিও দলনেত্রীর রোষের শিকার হয়েছেন এ কথা মানতে নারাজ মদন। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে আরো ভালো করে ভিডিও বানাতে বলেছেন।
সেই সূত্র ধরেই এদিন ফের একবার ফেসবুক লাইভে এলেন তিনি। ভিডিওতে দেখা গেল, দুঃস্থ মানুষদের জন্য থানায় থালায় খাবার তুলে দিচ্ছেন মদন। ভাত, ডাল, সবজি এবং মিষ্টি দিয়ে সাজানো থালা দেওয়া হচ্ছে দুঃস্থ মানুষদের উদ্দেশ্যে। টালিগঞ্জের পঞ্চানন তলায় গত এক মাস ধরেই খাবার বিতরণ করছে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদ। আজ তাদের সাথেই হাত মেলাতে এগিয়ে গেলেন মদন মিত্র। ফেসবুক লাইভ থেকে তিনি বলেন, দক্ষিণ কলকাতার যুব তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ২৬ দিন ধরে এলাকার মানুষদের জন্য এই কাজ করে চলেছে। ওদের সমর্থন জানাতে আজ আমার আসা। জগন্নাথের রথের মত এই প্রকল্পকে যাতে হাতে হাত লাগিয়ে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটাই আমার উদ্দেশ্য।
৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের কাছে। আজ লাইভে খুব অল্প সময়ে থাকলেও যুব কংগ্রেসের এই উদ্যোগকে বারবার প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। সাথে ছিল তার রসিক মেজাজও, খাবারের থালার দিকে দেখিয়ে তিনি বলেন ভাত, ডাল, চাটনি এবং পান্তুয়া রয়েছে, বাঙালির হৃদয়ে পান্তুয়া তাই সেটাকেই বেছে নিলাম। নানান লাইভ থেকে বারবারই নিজের কথা স্পষ্ট বলেছেন মদন মিত্র। আজও নিজের পুরনো দিনের ইতিহাসের কথায় ফিরে যান তিনি। তিনি বলেন সিপিএমের তাড়া খেয়ে যখন পালিয়ে আসতাম তখন থেকে এই জায়গার সাথে পরিচিত। তাই এই জায়গাকে কোনদিন ভুলবো না।