বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতি ইস্যুতে একই অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) আর তার মাঝেই একাধিক প্রবীণ নেতার গলায় রাজনীতির ছাড়ার প্রসঙ্গ ক্রমশই জল্পনা বৃদ্ধি করে চলেছে। সম্প্রতি, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy) আর এবার মদন মিত্র (Madan Mitra); একের পর এক তৃণমূল নেতাদের রাজনীতি ছাড়ার কথাবার্তায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি দলে আর থাকতে চাইছেন না প্রবীণরা?
উল্লেখ্য, একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য এবং নিজের রঙিন জীবনের জন্য সর্বদাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিরাজ করেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। এক সময় প্রভাবশালী মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে পড়ে জেল হেফাজতও হয় মদনের। যদিও পরবর্তীতে জেল থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে ফের একবার বিধায়ক পদে বসেন তিনি। বর্তমানে বাংলার বুকে উঠে আসা একের পর এক দুর্নীতি মামলায় বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন। তবে সেই মদন মিত্রই রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গ কেন সামলে আনলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা।
এদিন মদনবাবু বলেন, “নতুন প্রজন্ম আমাকে দেখে শিখবে। সেই জন্য নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছি। ক্রমশই বয়সের ভার হওয়ার পাশাপাশি ওজন ৮০ কেজিতে পৌঁছেছে। যা না পাওয়ার ছিল সেটা না পাওয়াই থাক।”
পরবর্তীতে তৃণমূল নেতা বলেন, “২০২৬ সাল পর্যন্ত বিধায়ক পদে রয়েছি। তবে তারপর নির্বাচনে লড়বো কিনা, সেটা নিয়ে ভাবার সময় এসে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে সকলেরই ভাবা উচিত। আমার থেকে ভালো কেউ রয়েছে? সে কি আমার জায়গায় দাঁড়াতে পারে? এই সকল বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে। এলাকায় যখন শুনি যে, আমি ১১ বারের বিধায়ক, তখন স্বাভাবিকভাবেই খারাপ লাগে। অনেকদিন হলো। ছেলে এবং নাতিদের সুযোগ দিলে বরং ভালো করতাম।”
মদনবাবুর এহেন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি, তৃণমূলের অপর এক বিধায়ক তাপস রায় রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গ সামনে এনে বলেন, “আমাকে আটকে রাখা সহজ নয়।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ‘নয়া তৃণমূলের’ প্রসঙ্গ সামনে উঠে আসে, যার পরই একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে তৃণমূলকে নতুনভাবে গড়াই যে লক্ষ্য হতে চলেছে, সেই বিষয়ে দাবি করেন বহু নেতারা। তবে এর মাঝেই প্রবীণদের মুখে রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গের সঙ্গে নয়া তৃণমূলের কোনো রকম সম্পর্ক রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে বর্তমানে উঠে গেছে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন।