বাংলা হান্ট ডেস্ক : এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসছে নিত্য নতুন তথ্য। এক কথায় কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসার মতই অবস্থা। অয়ন শীলকে (Ayan Shil) জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি জানতে পেরেছে, তাঁর সংস্থা এবিএস ইনফোজোন-এর মাধ্যমে রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এই পুরসভাগুলির মধ্যে অন্যতম হল কামারহাটি। আর দুর্নীতিতে কামারহাটি পুরসভার নাম জড়াতেই সরব হলেন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। তিনি পরিষ্কার জানালেন ‘এই ঘটনায় কামারাহাটি নাম জড়ানোতে তাঁর খারাপ লাগছে।’
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মদন বলেন, ‘যে কোনও অফিসে নিয়োগ একটি পদ্ধতির মাধ্যমে হয়। সেখানে এই শ্বেতা চক্রবর্তী কে ঠিক মনে পড়ছে না। আসলে এই পৌরসভায় ১০০টি মেয়ে কাজ করেন। তাঁর মধ্যে কে শ্বেতা ঠিক বুঝতে পারছি না।’ শ্বেতা চক্রবর্তীর ব্যাপারে খোঁজ নেবেন বলে জানিয়ে মদন বলেন, ‘আমি কামারহাটি যাচ্ছি। খোঁজ নেব শ্বেতার ব্যাপারে। আসলে আমি অনেক মেয়েকেই দেখি। এদের মধ্যে কেউ শ্বেতা হতে পারে। আমি পৌরসভায় খুব কম যাই। খবর নিশ্চয়ই নেব।’
মদন এদিন আরও বলেন, ‘হিটলার হোক বা মাও সে তুং! আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে এমন কোনও রাজনৈতিক দল নেই যারা নিজের দলকে নিজেদের ক্ষমতায় চাকরি দেননি। পার্টির ছেলেরা খাটবে পরিশ্রম করবে তাঁরা চাকরি পাবে। অবশ্যই যাঁরা অনশন করছেন, যোগ্য তাঁরাও চাকরি পাবেন।’ সিপিএম-কে আক্রমণ করে মদন প্রশ্ন করেন, ‘কেউ যদি বলে তৃণমূলের ছেলেরা চাকরি পেয়েছে এতে আমি কোনও অন্যায় দেখি না।
মদন মিত্র আরও বলেন, ‘সিপিএম কি চাকরি দেয়নি? মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছিলাম এই অয়ন শীল ২০০২ থেকে সিপিএম-এর সময় থেকে এজেন্সি পায়। কই সেই গুলো নিয়ে তদন্ত হয় না। সিপিএম অপরাধগুলো খুব সুন্দরভাবে করে।’ এর পর অবশ্য তিনি বলেন, ‘চাকরি বিক্রি করা অপরাধ। যাঁরা করেছেন তাঁদের নরকেও ঠাঁই হবে না।’
হুগলির প্রমোটার অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর দুর্নীতিতে উঠে এসেছে রহস্যময়ী নারীর যোগ। ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে এখনও অবধি। তার মধ্যে এই বান্ধবীর নামেও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। সূত্রের খবর, অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার ঠিক উল্টোদিকে জগন্নাথ নিকেতনে তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
Made in India