বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) মনোনয়ন পর্বে রাজ্য জুড়ে হিংসার চিত্র দেখেছে পশ্চিমবঙ্গবাসী (West Bengal)। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার কড়া বিবৃতি দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C.V. Ananda Bose)। তিনি বলেন, ‘এই সন্ত্রাস চলতে পারে না। শয়তানের খেলা শেষ হওয়া উচিত।’ শুক্রবার এই বিষয়ে রাজ্যপালকে পাল্টা আক্রমণ করতে গিয়ে যেন সীমা ছাড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।
মদন বলেন, ‘রাজ্যপাল কী শয়তানের খেলা দেখেছেন এখনও? ওঁর চেহারাটাই শয়তানের মতো। কালো শয়তান। কেলে শয়তান যাঁকে বলে!’ এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মদন মিত্র বলছি, লিখে রেখে দিন। ১১ জুলাই পঞ্চায়েতের ফল বেরোবে। ওইদিনই রাজ্যপালকে পদত্যাগ করতে হবে।’
কামারহাটির বিধায়কের দাবি, রাজ্যপাল উস্কানি দিচ্ছেন। তিনি যে ধরনের কথা বলছেন, বিবৃতি দিচ্ছেন, তাতে উত্তেজনা, সন্ত্রাস বাড়বে। সেইসঙ্গে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের এও বক্তব্য, ‘রাজ্যপাল যদি বাপের বেটা হন তাহলে মণিপুরে যান। দরকারে আমি মদন মিত্র ওঁর সঙ্গে যাব।’
ইদানীং এক অদ্ভুত ব্যাপার দেখা যাচ্ছে। মদন মিত্র যা নিয়েই বলেন তাঁর মেজাজ থাকে সপ্তমে। এসএসকেএম কাণ্ডে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেও তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানিয়েছিলেন। তারপর যদিও আদ্যাপীঠের অমদিরে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে মদন-মমতাকে। এদিন রাজ্যপালের প্রসঙ্গে প্রবীণ এই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘ইনি রাজ্যপাল না হরিদাস পাল? ওঁর চেয়ে আমাদের পরেশ পালের স্ট্যান্ডার্ড অনেক ভাল।’
তবে রাজ্যপালের বর্ণ নিয়ে কথা বলা কতটা রুচিশীল বা শিষ্টাচার হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর গায়ের রং নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ভর্ৎসনাও করেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিনে প্রাণ যায় ৪ জনের। সারা দিন ধরে এলোপাতাড়ি বোমাবাজি চলে। চলে গুলিও। সেই সন্ত্রাস কবলিত ভাঙড় পরিদর্শনে আসবেন বলে বৃহস্পতিবারই ইঙ্গিত দেন রাজ্যপাল। কলকাতায় ছিলেন না তিনি। বৃহস্পতিবারই দমদম বিমানবন্দরে নেমে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে যে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা