‘ওহ লাভলি’, এবার নিজের রূপের রহস্য ফাঁস করলেন মদন মিত্র

   

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার অন্যতম সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ভাইরাল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তিনি। তাঁর ‘ওহ লাভলি’র প্রেমে মজে আট থেকে আশি সকলেই। ৬৭ বছর বয়সে প্রতিদিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি সামলেও এই গরমেও এতটুকু ভাঁটা পড়েনি বাংলার ‘কালারফুল বয়ের’ গ্ল্যামারে। কথা হচ্ছে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে নিয়ে। তাঁকে ‘বাংলার ক্রাশ’ বললেও খুব একটা ভুল হয় না বোধহয়। এবার নিজের বিউটি সিক্রেটই ফাঁস করলেন মদন মিত্র।

সকালে চোখ খোলা থেকে রাতে ঘুম সব কিছুতেই কড়া নিয়ম মেনেই চলেন তিনি। কোনও কিছুতেই একচুল এদিন ওদিক হওয়ার জো নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে হলুদ, থাককুনি পাতা বাটা, একগ্লাস বেলের সরবত খান তিনি। ‘হেভি ব্রেকফাস্টে’ বিশ্বাসী নন বলেই জানিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। তাই সকালে অতি সংক্ষেপেই সারেন প্রাতরাশ। সকালে একটি টোস্ট এবং ব্ল্যাক কফি খেয়েই বেরিয়ে পড়েন বাইরের কাজে।

সাধারণ জল যে তিনি খান না তা বলাই বাহুল্য। সারাদিনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে অনলাইন থেকে কেনা ২০০ টাকা লিটারের জলের বোতলে চুমুক দিয়েই মেটে তৃষ্ণা। এর পর লাঞ্চে স্রেফ চিকেন স্যুপ। আর দুপুরে খুব ইচ্ছে হলে শুকনো মুড়ি, এই মদন মিত্রের সারাদিনের খাদ্য তালিকা। রাতে অবশ্য কিঞ্চিৎ নিয়মভঙ্গ হয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রাতেই বেনিয়মটা হয়। আমি তড়কা খেতে খুব ভালোবাসি। রাতে রুটি আর তড়কা খাই। দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরলেও টিভি দেখে ঘুমোতে ঘুমোতে সেই ১২টা বাজে। এরপর ১০ ঘণ্টার ঘুম। রাত ১২টা থেকে সকাল ১০টা।’

সৌন্দর্য বজায় রাখতে খাদ্যতালিকা থেকে একাধিক খাবার বাদ দিয়েছেন মদন মিত্র। বড় মাছ, ইলিশ, চিংড়ি, কোল্ড ড্রিঙ্ক, মিষ্টি, দই, রাস্তার পাশের খাবার একেবারেই খান না তিনি। এই তালিকায় অবশ্য ব্যতিক্রম ফুচকা। ফুচকা ছাড়া নাকি থাকতেই পারেন না মদন মিত্র। ফলে প্রায়ই ছেদ পড়ে নিয়মে। ফুচকার পাশাপাশি লুচি ছোলারডাল দেখলেও নিজেকে সামলাতে পারেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি।

এতো গেল খাবারের কথা, নিজের ত্বকের যত্ন এবং শরীরচর্চা নিয়েও অকপট হয়েছেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘দিনে দু’বার ফেস ওয়াস করি। সকালে এবং রাতে। তবে সানস্ক্রিন লাগাই তিন বার। এসপিএফ ৭০ না হলে সেই সানস্ক্রিন আমি লাগাই না। মুখ না ধুয়ে তার ওপরেই বারবার সানস্ক্রিনের প্রলেপ দিই।’ একই সঙ্গে অবশ্য বাড়তে থাকা ভুঁড়ি নিয়ে খানিক আক্ষেপের সুর শোনা গেছে মদন মিত্রের গলায়। তাঁর কথায়, ‘ইদানিংকালে আমার বেলি ফ্যাট ঝরানোর ব্যায়াম বিশেষ করা হয় না। ফ্যাটটা বাড়ছে।’ উল্লেখ্য, নিজের বাড়ির ছোটো জিম ছাড়াও ঘাম ঝরাতে একটি বড় জিমেও যান মদন। সেখানে তাঁর ব্যক্তিগত ট্রেনার রয়েছে বলেও খবর।

Avatar
Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর