বাংলাহান্ট ডেস্ক : হারিয়েছেন মন্ত্রীত্ব, তারপরেও গলায় ভালোবাসার সুর। গতকাল অর্থাৎ ৩রা ডিসেম্বর পালিত হলো তাঁর ৬৮তম জন্মদিন। আর সেই আয়োজনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ছোঁয়া। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পাঞ্জাবী গায়ে চাপিয়েই তার পাঠানো কেক কেটেছিলেন তিনি। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কার কথা বলা হচ্ছে ? তিনি আর কেউ নন স্বয়ং তৃণমূল নেতা মদন মিত্র।
আবেগে ভাসছেন তিনি। কারণ তাঁর দিন শুরু হয়েছে তার ‘দিদি’র অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন দিয়ে। তারপর তৃণমূল সুপ্রিমোর পাঠানো একটি চিঠি নিয়ে আসেন এক কর্মী। সেই চিঠিতেই পাঞ্জাবীর বিষয়টি বলা ছিল। সেই উপহার তাঁর কাছে আশীর্বাদস্বরূপ কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর জন্মদিনে ভালোবেসে তাঁর জন্য পাঞ্জাবী পাঠিয়েছেন।
আবেগতাড়িত হয়ে ‘কালারফুল’ বয় বলেন, এইসব মন্ত্রীত্ব নাকি মিউজিক্যাল চেয়ার গেমের মতো। আজ একজনের আছে, কাল অন্য আরেক জনের হাতে। কিন্তু নাম মনে রাখাটাই আসল। আর এমন কথা বলেই বোধহয় তিনি বোঝাতে চাইলেন যে, বস্তু বা কোনো জিনিসের চেয়ে ভালোবাসা, সম্মান আর শ্রদ্ধাটাই আসল। এগুলিই চিরদিন থেকে যাবে। যদিও তাঁর এই কথার বিরোধিতা করে অনেকেই বলেছেন যে, যেহেতু তিনি কামারহাটির নেতৃত্ব হারিয়েছেন তাই মনের যন্ত্রণা দূর করতেই এসব বলছেন।
কামারহাটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, শিক্ষায়, গৌরবে, আভিজাত্যে, উন্নতিতে সবার কাছে পৌঁছবে এই কামারহাটি এবং এখানে জয়লাভ করবে তৃণমূলই। তবে তিনি মন্ত্রীত্ব না পাওয়ায় অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মদন মিত্রকে কখনো মনে হয় তিনি নিজের মন্ত্রীত্ব না পাওয়ায় যথেষ্ট রেগে আছেন আবার কখনো মনে হয় তিনি খুব শান্তিপ্ৰিয় মানুষ। তবে তিনি সবসময়েই স্বীকার করে আসেন যে, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের। তিনি তাঁর পাশের কেউ।