বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার রাজনীতিতে সবচেয়ে রঙিন ব্যক্তিত্ব বোধহয় মদন মিত্রই। এবার দ্বিতীয় বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তিনি। বাংলাহান্টকে এমনটিই জানিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক তথা তৃণমূলের কালারফুল বয় মদন মিত্র। সেই বিয়ের কেনাকাটা করতেই গতকাল কালিঘাটের ‘কেয়া শেঠ এক্সক্লুসিভে’ পৌঁছে গেছিলেন তিনি।
দিব্যি খোস মেজাজেই বিয়ের জন্য কেনাকাটা করতে দেখা গেল তাঁকে। তিনি বলেন, ‘মানুষের দুটো হাত, দুটো পা, দুটো চোখ, তাই দুটো বউ ছাড়া আর থাকা যাচ্ছে না। সেই কারণেই শনিবার আবার বিয়ে করছি।’ বিয়েতে নাতি মহারূপকেই নিতবর হিসেছে বেছেছেন মদন।
বিয়ের জন্য ঠিক কেমন পোষাক পছন্দ বাংলার কালার ফুল বয়ের?
ডিজাইনার কেয়া শেঠ জানিয়েছেন, বিয়েতে লাল পাঞ্জাবি পরতে চলেছেন মদন মিত্র। সঙ্গে থাকছে সোনালী ধুতি। কনে অবশ্য বরের পাঞ্জাবির সঙ্গে রংমিলান্তি করে পরবেন টুকটুকে লাল বেনারসি। বরবেশে সাজলেও টোপর অবশ্য না পসন্দ মদনের। টোপর পরলে ‘কেস খেয়ে যাবেন’ তাই বিয়ের সাজে তাঁর মাথায় টোপর থাকবে না বলেই জানা যাচ্ছে। একেই মদন মিত্র তায় আবার দ্বিতীয় বিয়ে, কত টাকা দামের পোষাক পরবেন তিনি এদিন? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর সাফ জবাব, ‘খুব কম হলেও লাখ খানেক টাকার পোষাক তো পরতেন হবে। বিয়ে বলে কথা।’ বাসি বিয়ের জন্যও অবশ্য একটি পাঞ্জাবি বেছে রেখেছেন তিনি।
মদন মিত্র জানিয়েছেন এই বিয়ের জন্য তাঁকে ডান্ডাপেটা করতে চলেছেন তাঁর স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই যে নাতিকে দেখছেন, ও আমার বউকে বলে এসেছে দাদু কাকে বিয়ে করছে আমি দেখতে যাচ্ছি। তারপর তুমি আর আমি মিলে ডান্ডা পেটা করতে যাব দাদুকে।’
পোষাক তো হল, কিন্তু কনেটি কে?
মদন মিত্রের বিয়ে। কিন্তু কনেটি কে? এই প্রশ্নেই এখন তোলপাড় বাংলা। সেই কনের পরিচয় জিজ্ঞেস করা হলে মদন জানান, ‘এখনই নয়। একেবারে বিয়ের সময়েই দেখতে পাবেন বউ কে। অনেক গুলো টেন্ডার ডেকেছিলাম বউ খুঁজতে। এমন বউ আনব যে মরা লোকও উঠে বসে বউ দেখতে আসবে।’
আজই বিকেল ৪টেয় কালিঘাটে বসতে চলেছে বিয়ের আসর। এই বিয়ের খবর সব্বাইকে দেওয়ার দায়িত্বও বাংলাহান্টকেই দিয়েছেন হবু বর। সবাইকে বিয়ে দেখতে সাদর আমন্ত্রনও জানিয়েছেন তিনি। বিয়ের মাধ্যমেই নিজের নববধূর সঙ্গে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন করবেন তিনি খবর এমনটাই।
কিন্তু হঠাৎ এই দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত কেন?
স্ত্রী পুত্র পারিবার থাকা সত্ত্বেও কেন আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মদন মিত্র? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলায় সবাই দেখছি এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে বলাবলি করছিল। আমিও ভেবেছিলাম এক ব্যক্তি এক বউ নীতি করব। তারপর দেখলাম যে মানুষের দুটো হাত, দুটো পা, দুটো চোখ, তাই একটা বউ নিয়ে চালানো সম্ভব নয়। সেই কারণেই এই দ্বিতীয় বিয়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মানসিক ভাবে অত্যন্ত বিভ্রান্ত। কারণ প্রেমের মাস, সামনেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তাই এখন সোকজ বিকজ একজ ওকজ এসব নিয়ে আর পারছি না। একমাত্র রিলিফ হচ্ছে বিয়ে। দুটো বিয়ে ছাড়া ঠিক হয় না আমি দেখেছি। রাধা কা ভি শ্যাম অর মীরা কা ভি শ্যাম।’
তাঁর এই বক্তব্য এবং পদক্ষেপ কিছুটা হলেও সৃষ্টি করছে রাজনৈতিক জল্পনার। তবে কি তিনি এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে কোনো বড় ইঙ্গিত দিতে চাইছেন তৃণমূলকে? উঠছে প্রশ্ন। যদিও সেসব জল্পনা টপকেও আজ বিকেলের দিকে তাকিয়ে আপামর রাজ্যবাসী। কার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন মদন মিত্র, তা জানতে না পারা অবধি একপ্রকার নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন তাঁর অনুগামীরা।