বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিন কয়েক ধরেই একের পর ওই ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কখনও রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি আবার কখনও বা প্যারোডি কবিতার চাপান উতোর, সব মিলিয়ে তুমুল শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে। প্রথমে রুদ্রনীলের অনুমাধব, দেবাংশুর রুদ্রদাদার পর এবার কলম ধরলেন মদন মিত্রও। তাঁর রচনায় উঠে আসার নীলমাধবযে রুদ্রনীলই একটাই দাবি করছেন নিন্দুকরা।
দিন কয়েক আগে সিবিআইএর তলব এড়িয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে বিঁধে অনুমাধব নামে একটি প্যারোডি কবিতা বাঁধেন রুদ্রনীল। সেই কবিতার ছত্রে ছত্রে কটাক্ষ করা হয় অনুব্রত মণ্ডল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার প্রেক্ষিতেই আরও একটি কবিতা ‘রুদ্রদাদা’ লিখে প্রাক্তন তৃণমূল এই নেতাকে ঠোকেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। এসবের পর এবার এই ইসুতে কলম ধরলেন মদন মিত্র।
কবিতার মুখ্যচরিত্রকে নীলমাধব বলে উল্লেখ করে তিনি যে রুদ্রনীলকেই বিঁধছেন তাও বলতে আর অবধি থাকে না। এদিন মদন মিত্র রুদ্রনীলকে উদ্দেশ্যে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন,’রুদ্র রূপ দেখেছো কি
ওহে মাধব নীল/ বিজেপিতে উপোস করে/হয়েছো খাল সরি।শুকনো বিল/ জল তোমার শুকিয়ে গেছে/ রসও রসাতলে/ কী যে কষ্ট / কী যে দুঃখ।’…
কিন্তু খোদ রুদ্রনীল কী জানাচ্ছেন এই কবিতার ব্যাপারে? রুদ্রনীলের দাবি, ‘আমি পার্টি ছাড়ব এহেন গুজব ছড়িয়েছিল। ১৪ মাস কাজ নেই হাতে রাজনৈতিক পরিচয়ের কারনে সেই থেকে ছড়ায় গুজবটা।’
এখানেই শেষ নয়, এদিন তিনি আরও বলেন,’উপার্জন কেড়েছেন। নির্বাচনের সময় মারধরও করেছেন। এ বার কবিতা দিয়ে পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা। তবে ভাল লাগছে পেট্রল বোমার বদলে কবিতা ছুড়ছে শাসকদলের বাহিনী। তবে এটা কবিতা না শিল্প না সাহিত্য নাকি অন্য কিছু সেটা মানুষ বিচার করবে। উনি বয়সে বড়, তাই আমি মোটেই হাসব না।’