বাংলা হান্ট ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) দৌড়ে পিছিয়ে পড়লেন চারবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Chauhan)। মহাকাল-ভূমি মধ্যপ্রদেশের মসনদে বসলেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে নয়া টুইস্ট এল মধ্যপ্রদেশে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বেছে নিল ওবিসি সম্প্রদায়ের মোহন যাদবকে। উল্লেখ্য, শিবরাজও ওবিসি সম্প্রদায়েরই মানুষ ছিলেন।
মধ্যপ্রদেশের মত একটা রাজ্যে অখ্যাত মোহন যাদবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিঃসন্দেহে একটা বড় চমক। যেখানে নরেন্দ্র সিং তোমর, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের মত নেতাদের ভিড়, সেখানে মোহন যাদবের বাজিমাত দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। যদিও এর আগেও এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিসরা। আসলে মোদী জামানায় বদলেছে অনেক নিয়মই।
এর আগে যখন যোগী আদিত্যনাথকে মসনদে বসানো হয় তখন তার কোনও প্রসাশনিক অভিজ্ঞতাই ছিলনা। সেদিক দিয়ে প্রশাসক হিবাবে ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে মোহন যাদবের। এর আগে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। সেই সাথে আরএসএস-র সাথেও ভালো খাতির রয়েছে তার।
সূত্রের খবর, মোহন যাদবের নাম নাকি শিবরাজ নিজেই প্রস্তাব করেছেন। পূর্বে শোনা গিয়েছিল, চলতি বছর বিজেপি নাকি তাকে টিকিটই দিতে চায়নি। তবে টিকিট পাওয়ার শিবরাজ প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনি মোটেও অযোগ্য নন। এতবছর পরেও একইরকম জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। বিগত বিধানসভার ভোটগুলির তুলনায় এবার আরও ভাল মার্জিনে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, শিবরাজের বিপুল জয়ের পেছনে অন্যতম বড় কারণ ছিল তার ‘লাডলি বহেনা’ প্রকল্প। তার বিধানসভার সিংহভাগ মহিলা ভোট গেছে শিবরাজের ঝুলিতেই। তারপর থেকেই প্রশ্ন, এই বিপুল জনপ্রিয়তার পরেও তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হল কেন? বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই নাক এই সিদ্ধান্ত। এখন রাজস্থানে কী হয় সেটাই দেখার।