বাংলাহান্ট ডেস্ক : সনাতন ধর্মের দেশ ভারতবর্ষ। বিশ্বাসকে পাথেয় করে এই দেশে যুগের পর যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে ধর্ম। বিশ্বাসের জোরে অনেক সময় সামান্য পাথরও ভক্তদের কাছে হয়ে ওঠে দেবতা। কিন্তু তাই বলে কখনো শুনেছেন ডাইনোসরের ডিমকে দেবতা বলে পুজো করা হচ্ছে? মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার পাদালিয়া গ্রামে ঘটেছে এমনই অদ্ভুত ঘটনা।
এই গ্রামের বাসিন্দারা দেবতা হিসেবে যে পাথরকে পুজো করে আসছিলেন সেটি নাকি আসলে ডাইনোসরের ডিম! এই গ্রামের বাসিন্দারা গোলাকার একটি পাথরের উপর তিলক কেটে কাকর ভৈরব হিসাবে পুজো করে আসছিলেন। এই পাথরটি আসলে একটি জীবাশ্ম। কোটি কোটি বছর আগের ডাইনোসরের ডিম পরিণত হয়েছে জীবাশ্মে।
আরোও পড়ুন : পৃথিবীর একদম শেষ রাস্তা এটাই, তারপরেই সব …! একা গেলেই ঘটে বড় বিপদ, চিনে রাখুন পথটিকে
লক্ষ লক্ষ বছর আগে ডাইনোসর যুগের সাথে সংযুক্ত ছিল নর্মদা উপত্যকার এই অঞ্চলটি। এই অঞ্চলে ডাইনোসর ছিল প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে। এই পাথরটিকে উদ্ধার করে প্রশাসনের তরফ থেকে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় ডাইনোসর বিশেষজ্ঞ বিশাল ভার্মা বলেছেন, তিনজন বিজ্ঞানী কিছুদিন আগে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।
বিজ্ঞানী ডঃ মহেশ ঠক্কর, ডঃ বিবেক ভি কাপুর, ডঃ শিল্পা এই কর্মশালায় অংশ নেন। মান্ডুতে অবস্থিত ডাইনোসর ফসিল পার্কের উন্নয়ন কাজ খতিয়ে দেখার জন্য তারা এসেছিলেন। সেই সময় বিজ্ঞানীদের চোখে পড়ে গ্রামবাসীরা পুজো করে প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার ব্যাসের গোলাকার পাথরকে। বিজ্ঞানীরা এরপর পরীক্ষা করে জানতে পারেন এটি আসলে ডাইনোসরের ডিম। এই ডিমকেই গ্রামবাসীরা দেবতা ভেবে পুজো করত।