বাংলা হান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল মধ্যপ্রদেশ। আলিরাজপুরের একটি আদিবাসী পরিবারের এক সদস্যের থেকে ২৪০ টি স্বর্ণমূদ্রা চুরির অভিযোগ উঠল চার পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই থানায় বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় স্টেশন ইনচার্জ সহ চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে উপরমহল। ঠিক কী ঘটেছিল ঘটনাটি?
এই বিষয়ে পুলিশ সুপার হংসরাজ সিং রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সোন্ডওয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এবং তিনজন কনস্টেবল সহ চারজন পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, আইপিসির ৩৭৯ ধারায় চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার এসপি বলেন, আমরা চাই তদন্ত যেন সুষ্ঠু হয় এবং এতে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়ে যে তথ্য উঠে এসেছে তা হল, শম্ভু সিং নামে এক ব্যক্তি একটি মামলা দায়ের করেন। তার বয়ানে তিনি বলেন, ১৯ জুলাই সোন্ডওয়া থানার চার পুলিশ সদস্য বাইজদা গ্রামে তার বাড়িতে এসেছিলেন। ঐদিন নাকি তারা তার স্ত্রী-কে মারধর করেন এবং বাড়িতে পুঁতে রাখা ২৪০টি স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে যায়।
মঙ্গলবারের মধ্যে চার পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার না করলে সোনডওয়ায় বন্ধের ডাক দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ সুপার বলেন, প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হবে। এদিকে এসপি বলেন, অভিযোগকারী পুলিশের কাছে একটি মুদ্রা নিয়ে এসেছিলেন, যার ওজন ছিল ৭.৯৮ গ্রাম। এবং এটি ব্রিটিশ আমলের (১৯২২) খাঁটি স্বর্ণমূদ্রা।
এই সোনার কয়েন তারা কোথায় পেল তা জানতে চাওয়া হলে পরিবারটি জানায়, গুজরাটে একটি খনন কাজে যুক্ত থাকার সময় তারা ঐ মূদ্রাগুলি পেয়েছিল। ইতিমধ্যেই বিষয়টি যাচাই করতে একটি তদন্তকারী দল গুজরাটে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, আলিরাজপুর, ঝাবুয়া এবং মধ্যপ্রদেশের অন্যান্য জেলা থেকে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলারা প্রায়ই জীবিকার জন্য গুজরাট এবং রাজস্থানে যান।
এখন ঐ আদিবাসী পরিবার সত্যি বলছে নাকি মিথ্যা তা তো গুজরাট থেকে রিপোর্ট আসার পরই বোঝা যাবে। তবে চার পুলিশ কর্মী যেটা করেছে তার নিন্দায় মুখর হয়েছে গোটা দেশ। আলিরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক এবং মধ্যপ্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি নাগর সিং চৌহান গত রবিবার দুই ঘন্টার জন্য সোন্ডওয়া থানা ঘেরাও করেছিলেন। চার পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি তারা দাবি জানিয়েছেন যে, ঐ সোনার মূদ্রা যেন ঐ দরিদ্র পরিবারটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।