বাংলা হান্ট ডেস্ক : মাতৃভক্তির এক নজিরবিহীন উদাহরণ স্থাপন করলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) এক যুবক। নিজের দেহের চামড়া দিয়ে মায়ের জন্য জুতো বানালেন তিনি। নিজের দেহের চামড়া দিয়ে তৈরি সেই জুতো মায়ের পায়ে পরিয়ে দিলেন তিনি। তারপর থেকেই সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর (Ujjaini) বাসিন্দা রৌনক গুর্জর (Raunak Gurjar)।
রৌনক জানিয়েছেন, তার আদর্শ হচ্ছেন পুরুষোত্তম রাম। রামায়ণ তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রোজই রামায়ণ পাঠ করেন তিনি। এই মহাকাব্যই তাকে শিখিয়েছে মাতৃভক্তির সংজ্ঞা। এই গ্রন্থ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই মায়ের জন্য জুতো তৈরি করেছেন তিনি। তবে গল্প এখানেই শেষ নয়, রৌনকের অতীতের কাহিনী আরও আকর্ষণীয়।
সূত্রের খবর, উজ্জয়নীর বাসিন্দা রৌনক আগে একাধিক অপরাধমূলক কাজ করেছেন। পুলিশের তাড়াও খেয়েছিলেন কয়েকবার। একবার তো রৌনকের পায়ে গুলিও লেগেছিল। তার সেই পায়ে যখন অস্ত্রপচার হয় তখন পায়ের উরুর জায়গা থেকে কিছুটা চামড়া তুলে নেন। এবং সেই চামড়া দিয়েই মায়ের পায়ের জুতো তৈরি করেন তিনি।
আরও পড়ুন : করোনার পর এবার যক্ষ্মা দূরীকরণেও বড় সাফল্য! ভারতজুড়ে শুরু হল MTBVAC-র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল
যদিও এই বিষয়ে রৌনকের পরিবার অবগত ছিলেননা। তিনি কাউকে কিছু না জানিয়েই পায়ের চামড়া নিয়ে পৌঁছে যান এক দক্ষ মুচির কাছে। এরপর জুতো তৈরি হয়ে গেলে তা নিয়ে তিনি নিজের হাতে মায়ের পায়ে পরিয়ে দেন। ছেলের এই কাণ্ড দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা। এইদিন সাংবাদিকদের সামনে রৌনক বলেন, ‘আমি সমাজকে বলতে চাই যে স্বর্গ পিতামাতার পায়ের কাছে রয়েছে। পিতা হলেন স্বর্গের সিঁড়ি, আর মা হলেন সেখানে যিনি এটি তৈরি করবেন।’
আরও পড়ুন : বাম ঘাঁটিতে গেরুয়া ঝড়! JNU ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ৪টি আসনেই এগিয়ে ABVP
যুবক আরও বলেন, ‘রামায়ণ অনুযায়ী, ভগবান রাম এক বার বলেছিলেন, নিজের চামড়া দিয়ে তৈরি জুতোও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। সেখান থেকেই এই ভাবনাটি আমার মাথায় আসে। মাকে ওই জুতো উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করি আমি।’ ওদিকে বৃদ্ধা মা ছেলের এই কাণ্ড দেখে বলেন, ‘ও কী করেছে, আমি জানতে পারিনি। এমন ছেলে যেন ঈশ্বর সব মাকেই দেন।’