বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রস্রাব-কাণ্ডে তুলকালাম মধ্যপ্রদেশ (Madhyapradesh)। আদিবাসী শ্রমিকের মুখে-গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনা নিয়ে গত তিন দিন ধরে রীতিমতো উত্তাল অবস্থা। জাতীয় রাজনীতিও সরগরম হয়ে উঠেছে এই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেছিল বিরোধী পক্ষ। গতকালই অভিযুক্ত প্রবেশ শুক্লর (Prabesh Shukla) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
কিন্তু এটুকুতেই শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। তখন আসরে নামলেন স্বয়ং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। এই ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তিতে যাতে কোনও রকম আঁচড় না লাগে, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যা করলেন তাতে বিরোধী পক্ষকে কার্যত নিশ্চুপ দর্শকের ভূমিকা পালন করতে হল।
কী এমন করলেন শিবরাজ চৌহান? আদিবাসী শ্রমিক দশমত রাওয়তের কাছে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, তাঁকে নিজের বাসভবনে ডেকে নিয়ে এসে হাত-পাও ধুইয়ে দেন। তাঁর গলায় পরিয়ে দেন উত্তরীয়। কিছু উপহারও দেন। এখানেই শেষ নয়, নিজের হাতে শিবরাজ খাইয়েও দেন দশমতকে। দশমতকে বাসভবনে ডেকে এনে ক্ষমা চাওয়ার গোটা ঘটনাটি নিজের টুইটার হ্যান্ডলেও শেয়ারও করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
यह वीडियो मैं आपके साथ इसलिए साझा कर रहा हूँ कि सब समझ लें कि मध्यप्रदेश में शिवराज सिंह चौहान है, तो जनता भगवान है।
किसी के साथ भी अत्याचार बर्दाश्त नहीं किया जायेगा। राज्य के हर नागरिक का सम्मान मेरा सम्मान है। pic.twitter.com/vCuniVJyP0
— Shivraj Singh Chouhan (@ChouhanShivraj) July 6, 2023
হঠাৎ এই রকম অতিথি আপ্যায়নে রীতিমতো হতবিহ্বল হয়ে পড়েন দশমত। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর জুতো খুলতে যাওয়ায় দশমত ইতস্তত বোধ করেন। অবশ্য শিবরাজ এক রকম জোর করেই জুতো খুলে নেন। তার পর দশমতকে বলেন, ‘ওই ঘটনার ভিডিয়ো দেখে অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছিলাম। আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি। আপনাদের মতো মানুষই আমার কাছে ঈশ্বর।’
কী হয়েছিল ঘটনা? দিন তিনেক আগে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিয়োতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি হাতে জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে আদিবাসী এক শ্রমিকের মুখে, গায়ে প্রস্রাব করছেন। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই মধ্যপ্রদেশে শোরগোল পড়ে যায়। অভিযুক্তের নাম প্রবেশ শুক্ল। গত ৪ জুলাই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার কুবরি গ্রামে।
এরপরই রটে যায় প্রবেশ বিজেপির সক্রিয় কর্মী। শুধু তাই নয়, বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লর বিশেষ ঘনিষ্ঠ। অবশ্য বিজেপি বিধায়ক প্রবেশের সঙ্গে যোগের কথা অস্বীকার করেছেন। প্রবেশের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন মহল সরব হওয়ায় দ্রুত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে প্রশাসন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এমনকি বুলডোজ়ার দিয়ে তাঁর বাড়ির একাংশ গুঁড়িয়েও দেওয়া হয়।