বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রাথমিকের পর এবার মাদ্রাসা! মাস দুয়েক আগের কথা। প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা সারা রাত জেগে অবস্থান করেছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের সামনে। তারপরও ‘দয়া হয়নি’ অভিষেকের। দেখা করেননি তিনি। তবে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে কুণাল ঘোষ কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। মঙ্গলবার একইভাবে মাদ্রাসা চাকরি প্রার্থীরা (Madrasa job seekers) পৌঁছে যান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে।
এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে পৌঁছন মাদ্রাসা চাকরি প্রার্থীরা। সঙ্গে এক কাণ্ডও করে বসেন তাঁরা। এদিন থালা বাজিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেল তাঁদের। মাদ্রাসা চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, দুর্নীতির কারণেই তাঁদের নিয়োগ আটকে রয়েছে বহু দিন ধরে। এ ব্যাপারে অভিষেকের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। ক্যামাক স্ট্রিটে মাদ্রাসা চাকরিপ্রার্থীরা এদিন স্লোগান দেন, ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার/ রাজপথে হবু টিচার/ চমৎকার চমৎকার।’
কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছায় অভিষেকের অফিসের সামনে। বিক্ষোভ দেখানো চাকরি প্রার্থীদের এক রকম টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিস। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজার। তবে থালা বাজিয়ে বিক্ষোভ এই প্রথম নয়। এর আগে গত জুলাই মাসে সল্টলেকের ময়ূখ ভবনের সামনে মাদ্রাসা চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখান। রীতিমত থালা বাজিয়েই বিক্ষোভে নামেন তাঁরা।
২০১৩ সালের ষষ্ঠ এসএলএসটি টেট পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের ২০১৭ সালে ইন্টারভিউ হয়ে যায়। অভিযোগ, সেই সময় মাদ্রাসার চেয়ারম্যান আবদুল রউপের স্বেচ্ছাচারীতার কারণে চাকরি প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন। এরপর ২০১৩ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেখানে শূন্যপদ ছিল ৩ হাজার ১৮৩। তবে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর মাত্র ১৫০০ পদে নিয়োগ হয় বলে খবর। অবশিষ্ট চাকরি প্রার্থীরা আজও বঞ্চিত। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা মাননীয়াকে জানাচ্ছি যে আমরা চার বছর ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছি। ২০১৩ সালে যেখানে ৩ হাজার ১৮৩ সিট ছিল সেখানে পরে তা দাঁড়ায় ১৩০০। বাকি সিট কোথায় গেল? দিনের পর দিন আন্দোলন করছি। কোনও প্যানেল বসছে না। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট নিয়োগ করতে বললেও কোনও নিয়োগ হচ্ছে না।’ একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, ভুতুড়ে শিক্ষক নিয়োগ চলছে। যোগ্য লোকেদের নিয়োগ হচ্ছে না। অযোগ্যরা চাকরি পাচ্ছেন।