বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও মাদ্রাসাগুলির পরিচালন কমিটিগুলির লড়াই বহুদিনের। হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল রাজ্য সরকার-এর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম হাই কোর্টের প্রসঙ্গে রায় জানিয়েছিলেন, ‘‘সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ না-করলে পরবর্তী কালে শিক্ষকদের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কারণ, কমিশনের বদলে তখন তো সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার পরিচালন সমিতিই তাদের পছন্দমতো শিক্ষক নিয়োগ করবে। ’’ সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। প্রায় একবছর পর সেই মামলার রায় ঘোষনা করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা গুলির দ্বায়িত্বে থাকবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন-এর মাধ্যমে নিয়োগ ভারতীয় সংবিধানের ৩০ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী নয়। রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চ সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদ মোতাবেক মাদ্রাসা সহ সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের অধিকার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির। এই বক্তব্য খারিজ করেছে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ে বড় জয় পেল রাজ্য। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর হাই কোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে এখন থেকে রাজ্য সরকারের তৈরি কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হবে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে।
রাজ্য সরকারের মাদ্রাসা নিয়োগ সংক্রান্ত ২০০৮ সালে আইনের বিরুদ্ধে পরিচালন কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছিল কাঁথি রহমানিয়া হাই মাদ্রাসা। এই রায়ের ফলে মাদ্রাসায় বহু শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।