বাংলাহান্ট ডেস্ক : চাঞ্চল্যকর খবর উঠে আসছে মহারাষ্ট্র থেকে। সরকারি ভাবে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন একনাথ শিন্ডে। এই ঘোষণার পরেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারালো মহারাষ্ট্রের সরকার। জানা যাচ্ছে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলো একনাথের বিরুদ্ধেও।
মহারাষ্ট্রে নাটক অব্যাহত। বিদ্রোহী বিধায়করা অসম থেকে মুম্বাইয়ে ফিরে এসেই একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন। দুদিন আগেই বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শে পৃথক দল তৈরির কথা করে একনাথ শিন্ডে। তারপরই রাজ ঠাকরের সঙ্গে দু’বার ফোনালাপ। জল্পনা তৈরি হয় রাজ ঠাকরের সঙ্গে শিন্ডের আঁতাতেরও। এরপরই, আজ সকালে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে জোট সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়াট কথা ঘোষণা করলো বিদ্রোহী বিধায়করা।
একনাথ দাবি করছেন মোট ৩৮ জন বিধায়কের সমর্থন আছে তাঁর সঙ্গে। অন্যদিকে বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরেও। ওই বিধায়কদের সমস্ত পদ খারিজ করে সেই জায়গার অন্য বিধায়কদের মনোনীত করেন। কিন্তু একনাথদের পদক্ষেপে উদ্ধবের সরকার থাকবে কিনা সেটাই সন্দেহ।
আজ সকালেই শিবসেনার বিধায়ক একনাথ মহাবিকাশ অঘাড়ী জোটের থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপরই, মহারাষ্ট্রের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে তছনত করার অপরাধে বম্বে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় একনাথ শিন্ডের বিরুদ্ধ। দায়ের মামলার নোটিশে বলা হয়, ‘কর্তব্য পালন না করে এই রকম অনৈতিক কাজকর্ম করার অপরাধে একনাথ শিন্ডের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের সাত জন নাগরিকের তরফ থেকে বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। সেখানে বলা হয়, বিদ্রোহী বিধায়করা সংবিধান অনুসারে শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাঁরা তাঁদের কর্তব্য পালন করছেন না। এটা একধরনের সংবিধান অবমাননা বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা