বাংলাহান্ট ডেস্ক : পূর্ত দপ্তরের ভাঁড়ে মা ভবানী। ফান্ড নেই এক টাকারও। ফলে বাধ্য হয়ে টাকার অভাবে বন্ধ করতে হল মহিষাদলে মহত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজ। পূর্ত দপ্তরের তরফে লিখিত ভাবে ঠিকাদার সংস্থাকে ওই কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে মহত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিকল্পনা মাফিক ৮ তলা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য খরচ হওয়ার কথা ছিল ১০৫ কোটি টাকা। কিন্তু ঠিকাদার সংস্থার দাবি, ২০ কোটি টাকার কাজ হলেও এখনও অবধি তাদেরকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৮ কোটি টাকা। ১২ কোটি টাকা কবে পাবেন জানা নেই সংস্থার কর্মকর্তাদের। ওই সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার আশিস বসু বলেন, ‘যতক্ষণ না আর্থিক সাহায্য আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে। পূর্ত দফতরের কাছে এই কাজের জন্য ১ টাকাও ফান্ড নেই।’
এহেন ঘটনাকে ঘিরে কার্যতই চাপান উতোর তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘এই সরকার খেলা-মেলায় ব্যস্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দুয়ারে মদ প্রকল্প নিয়েছে। পড়াশোনা করলে চাকরি দিতে হবে তার জন্য কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’ যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘ তাড়াতাড়ি যাতে কাজ শুরু হয় তার জন্য যেখানে জানানোর জানাব। আমার মনে হয় কিছুদিনের মধ্যে কাজের অনুমোদন হবে এবং শুরু হবে।’
বছর কয়েক আগেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে শুরু করা পুর্ব মেদিনীপুরের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কজ এভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার বেশ অস্বস্তিতেই শাসকদল। পুরো বিষয়টিতে শুধু রাজনৈতিক মহলেই নয় তোলপাড় চলছে জেলার শিক্ষা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট মহলেও।