বাংলাহান্ট ডেস্ক: মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt), বলিউডের বর্ষীয়ান পরিচালকদের মধ্যে একজন। বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের বাবাও তিনি। তবে নিজের কাজ বা পরিবারের জন্য যতটা না তাঁর পরিচয়, তার থেকে অনেক বেশি লাইমলাইট তাঁকে এনে দিয়েছে বিতর্ক। মহেশের জীবনের অধিকাংশটা জুড়েই রয়েছে নানান কেচ্ছা, বিতর্ক। একাধিক বিয়ে, পরকীয়া তো আছেই, নিজের মেয়ের দিকে পর্যন্ত নজর দিয়েছিলেন তিনি!
যারা মহেশ ভাটকে ঘনিষ্ঠ ভাবে চেনেন তাদের অনেকের মতে, পরিচালকের একটা অন্ধকার দিক আছে। পরিবার, স্ত্রী, সন্তান সন্ততি থাকা সত্ত্বেও তিনি বিকৃত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। দু বছর আগে মহেশের একাধিক কুকীর্তির কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। ছিছিক্কার জুটেছিল বর্ষীয়ান পরিচালকের। আজ মহেশ ভাটের ৭৪ তম জন্মদিনে তাঁর জীবনের এমনি কিছু কেচ্ছা-বিতর্ক সম্পর্কে জেনে নিন-
পরভীন বাবির সঙ্গে পরকীয়া– মহেশ ভাট এমন একজন মানুষ যিনি নিজের কুকীর্তি কখনো অস্বীকার করেননি। প্রথম স্ত্রী লরেন্স ব্রাইটের (বিয়ের পর নাম বদলে হয়েছিলেন কিরণ ভাট) সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে থাকাকালীনই পরভীনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মহেশ ভাট।
মহেশ নিজেই স্বীকার করেছিলেন, এক স্ত্রী, দুই সন্তানের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়েও তিনি পরভীনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর। পরভীনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে মহেশ বানিয়েছিলেন ‘অর্থ’ (১৯৮২) ছবিটি। এমনকি অভিনেত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুও তাঁকে ‘ও লমহে’ (২০০৬) এবং ‘রজনীশ হি সহি’ (২০২২) ছবিদুটি বানাতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। কিরণের সঙ্গে সম্পর্ক ও বিয়ে নিয়ে বানিয়েছিলেন ক্লাসিক ‘আশিকি’ (১৯৯০)।
মেয়ে পূজা ভাটের সঙ্গে লিপলক– আশির দশকে ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিন প্রকাশ হতেই সবার চোখ কপালে উঠেছিল। ম্যাগাজিনের কভারের ছবিটি ছিল মহেশ ভাট ও তাঁর মেয়ে পূজা ভাটের। ছবিতে দেখা গিয়েছিল, পূজাকে কোলে বসিয়ে তাঁকে চুম্বন করছেন মহেশ। সেই সঙ্গে একটি লাইনও লেখা ছিল, ‘যদি পূজা আমার মেয়ে না হত ওকে আমি বিয়ে করতাম’।
ম্যাগাজিনটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কের ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। ম্যাগাজিন ও মহেশ ভাট দুজনেই তুমুল সমালোচনার সম্মুখীন হন। পরে কফি উইথ করন শোতে আলিয়া জানান, তিনি তাঁর সম্পর্কে একটি মন্তব্য শুনেছিলেন যে তিনি মহেশ ভাট ও পূজা ভাটের সন্তান।
জিয়া খানের সঙ্গে ভাইরাল ভিডিও– সুরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারনে আত্মহত্যা করেছিলেন জিয়া খান, এমনটাই লেখা ছিল তাঁর সুইসাইড নোটে। দু বছর আগে জিয়ার সঙ্গে মহেশ ভাটেরের একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল দুজনকে। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল সমালোচিত হতে হয় পরিচালককে।
রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্ক– সুশান্ত মামলার আগেও পরিচালক মহেশ ভাটেরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। পরিচালকের ৭০ তম জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি ছবি পোস্ট করে রিয়া লিখেছিলেন, “শুভ জন্মদিন আমার বুড়ো, মহেশ স্যার। এটাই আমরা। তুমি আমাকে ভালবাসা দিয়েছ, ভালবেসে জড়িয়ে ধরেছ, আমার চিরকালের মতো গুটিয়ে রাখা ডানা খুলে উড়তে শিখিয়েছ। আর কোনও শব্দ আসছে না। তোমায় ভালবাসি।” দুজনের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে একাধিক ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।
লুভিয়েনার অভিযোগ– মহেশ ভাটের ভাগ্নের স্ত্রী অভিনেত্রী লুভিয়েনা লোধ বিষ্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন পরিচালকের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও বার্তায় মহেশ ভাটের বিরুদ্ধে কড়া তোপ দেগে লুভিয়েনা বলেছিলেন, “ইন্ডাস্ট্রির সবথেকে বড় ডন মহেশ ভাট। উনিই পুরো সিস্টেমটাকে চালান। ওঁর নিয়ম মতো না চললে তার জীবন নরকে পরিণত করে দেন উনি। বহু মানুষের কাজ ছিনিয়ে নিয়ে তাদের জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন উনি। ওঁর একটা ফোন কলে মানুষের কাজ চলে যায়।”