বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাঙালি অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী (mahima chaudhary), শাহরুখ খানের (shahrukh khan) বিপরীতে ‘পরদেশ’ (pardes) ছবিতেই প্রথম দেখা যায় তাঁকে। এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে পা রাখেন তিনি। কিন্তু অত্যন্ত সম্ভাবনাময় কেরিয়ার হওয়া সত্ত্বেও হঠাৎ করেই অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন মহিমা। বলিউড থেকে যেন আচমকাই হারিয়ে যান তিনি। কিন্তু সম্ভাবনাময় কেরিয়ার ছেড়ে এমন সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলেন মহিমা? সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সেই হাড়হিম করা তথ্য।
পরদেশ ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে প্রথম বার পর্দায় দেখা যায় মহিমা চৌধুরীকে। তাঁর হাসি দিয়েই মন জয় করে নিয়েছিলেন সবার। সকলেই ভেবেছিলেন এবার খুব দ্রুত সফলতার সিঁড়িতে চড়বেন মহিমা। কিন্তু সবাইকে হতবাক করে ডেবিউ ছবির কয়েক বছর পরেই বলিউড থেকে হারিয়ে যান তিনি। এবার অভিনেত্রী নিজেই ফাঁস করলেন নেপথ্যের কারন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন মহিমা। তিনি জানান, পরদেশের কয়েক বছর পর এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন তিনি। কাজল ও অজয় দেবগণের সঙ্গে দিল কেয়া করের শুটিংয়ের জন্য বেঙ্গালুরুতে ছিলেন তিনি। শুটিং চলাকালীন ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন অভিনেত্রী।
গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে তাঁর সারা মুখে ঢুকে গিয়েছিল বলে জানান মহিমা। প্রায় ৬৮টা কাঁচের টুকরো ঢুকেছিল তাঁর মুখে। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মহিমাকে।
অভিনেত্রী জানান, সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার হওয়ায় সে যাত্রা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু মুখ সম্পূর্ণ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন অন্ধকার ঘরে থাকতে। সেই সময় বেশ কয়েকটি ছবি হাতে থাকলেও অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন মহিমা।
তাঁর মুখ নিয়ে লোকের করা মন্তব্য শুনে শুনে মন ভেঙে গিয়েছিল বলে জানান মহিমা। কিন্তু এরপর ডিজাইনার নীতা লুল্লা তাঁকে প্রচন্ড সহায়তা করেন বলে জানান তিনি। শুধু তাই নয়, ফের কাজ শুরু করার অনুপ্রেরনাও দেন নীতা।
এরপরেই ধড়কন ও ইয়াদ পিয়া কি আনে লাগিতে দেখা যায় মহিমাকে। সাহস বাড়ান অক্ষয় কুমারও। কিন্তু এখনও ওই দুর্ঘটনাটা তাড়া করে বেড়ায় মহিমাকে। ওটাই যে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ায় নষ্টের পেছনে দায়ি তাও স্বীকার করেন অভিনেত্রী।