মহুয়ার এনার্জির উৎস ‘সেক্স’? নিজেই জানালেন তৃণমূল প্রার্থী, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কে কি খাবেন, কী পরবেন এবং কে কাকে মন দেবেন এই বিষয়গুলি একান্তই ব্যক্তিগত হওয়া উচিত। আর এই তিনটি সূচকেই পিছিয়ে রয়েছে BJP-র চিন্তাধারা। এমনটাই মত কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)। তার এনার্জির কাছে হার মেনে যায় তরুণ তুর্কীরাও। আর তার এই এনার্জির উৎস নাকি ‘সেক্স’। সম্প্রতি এমনটাই জানালেন মহুয়া মৈত্র।

এমনিও ছকভাঙা জীবনধারার জন্য হামেশাই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকেন মহুয়া‌। নিজের জীবনটা তিনি নিজের মত করেই বাঁচতে ভালোবাসেন। তবে এইদিন তিনি যা বললেন, তার সত্যিই চমকে দেওয়ার মত। সম্প্রতি একটি ভিডিও চরম ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, তার এই অফুরান এনার্জির রহস্য কী।

এইদিন ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের বিদায়ী প্রার্থী তথা তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। প্রচারে তার নিজের লোকজনের পাশাপাশি ছিলেন এক ইউটিউব চ্যানেলের সাংবাদিকও‌। তিনিই প্রশ্নটি রেখেছিলেন মহুয়ার কাছে‌। তাদের সেই কথপোকথনের মুহুর্তটি ক্যামেরা বন্দি করে ফেলেন সাংবাদিকরা। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।

আরও পড়ুন : কোহলির বিকল্প পেয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া! ব্যাট থেকে ঝরছে আগুন, BCCI-র নজরে এই তারকা

এইদিন ঐ ইউটিউব চ্যানেলের সাংবাদিক মহুয়ার কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনার শক্তির উৎস কী?’ একটা সেকেন্ডও দেরি না করে তৃণমূল প্রার্থী জবাব দেন ‘সেক্স’। এই কথা বলার পরেই হেসে ফেলেন মহুয়া। তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্যটি নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মহুয়ার সমর্থকদের দাবি, তিনি এমনটা বলেননি। এডিট করে তার মুখে এই শব্দটি বসানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : বড় ঝটকা ধোনির দলে, মুস্তাফিজের পর ছিটকে গেলেন কোনওয়েও! বদলে বুড়ো পেসারকে নিল CSK

profiles3

সূত্রের খবর, যে সাংবাদিক এই ইন্টারভিউটি নিয়েছিলেন তিনিও নাকি জানিয়েছেন যে, মহুয়া এমন কিছুই বলেননি। এনার্জির উৎস হিসেবে তিনি বলেন, ‘এগস’। সেটিকেই এডিট করে ‘সেক্স’ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এমনিই মহুয়ার উপর আম বাঙালির কৌতুহল কম নয়। তার গুণমুগ্ধ যেমন আছেন তেমনই তার সমালোচকও কম নেই। বিগত এক বছরে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে মহুয়ার নাম। আর এবার ফের একবার বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল প্রার্থী।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর