বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সরকারের বারংবার তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এ রাজ্যের একটি চেনা ছবি। একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার পত্র যুদ্ধ সুপরিচিত সকলের কাছে, তেমনি অন্যদিকে সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সায়নী ঘোষদের সঙ্গেও বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল।
বিশেষত ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যেভাবে সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তিনি, তা প্রকৃত অর্থেই রাজ্য রাজ্যপাল সংঘর্ষের অন্যতম বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন জাগদীপ ধনকর। এর আগেও তার দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে একাধিক কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। একদিকে যেমন সায়নী বলেছেন,মিথ্যার ঝুড়ি নিয়ে জামাই শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে। তেমনি অন্যদিকে মহুয়া বলেছেন, “আঙ্কেলজি বলেছেন তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। বাংলার রাজ্যপাল সাহেব দয়া করে আর ফিরবেন না।”
রাজ্যপালের সঙ্গে নিজেই কাকা ভাইজি সম্পর্ক পাতিয়ে নিয়েছিলেন মহুয়া। তার প্রতিটি কটাক্ষের টুইটে রাজ্যপালকে “আঙ্কেল জি” বলেই সম্বোধন করতে দেখা গিয়েছে তাকে। এবার মহুয়া খুঁজে পেলেন তার দাদুকে। প্রাক্তন বিচারপতি তথা মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অরুণ মিশ্রকে এবার দাদু হিসেবে বেছে নিলেন তিনি। ঘটনাটি হল, দিল্লি যাবার পর থেকেই একের পর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকলের সঙ্গেই দেখা করছেন রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তো বটেই, এমনকি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। এবার তিনি দেখা করলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অরুণ মিশ্রর সাথে। নেহাত সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও তৃণমূলের মতে এ শুধু হাসি হাসি মুখ করে ফুলের তোড়া নেওয়া নয়। এর মধ্যে রয়েছে অন্য অভিসন্ধি।
Uncleji meets Dadu.
Watch this space for flurry of NHRC activity in WB in near future- notices, enquiries, administration hassled non-stop
Why so predictable, gentlemen? pic.twitter.com/NPDqyws3vK
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) June 18, 2021
সে কথা জানিয়ে দিন নিজের টুইটে মহুয়া লেখেন, “আঙ্কেল জি দাদুর সাথে দেখা করলেন। আগামী দিনে বাংলায় মানবাধিকার কমিশনের তৎপরতা আরও বাড়বে। নোটিশ, তদন্ত, প্রশাসনিক হেনস্থা চলবে অবিরাম। ভদ্রলোক কেন যে এত প্রেডিক্টেবল?” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেই রাজ্যপাল একাধিকবার বলেছেন, বাংলায় যেভাবে ভোট-পরবর্তী হিংসা চলছে তা স্বাধীনতার পর থেকে আর দেখা যায়নি। সেই সূত্র ধরেই এবার, জগদীপ ধনকরের অরুণ মিশ্রর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতেও অভিসন্ধির গন্ধ পাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল।