কৃতী ছাত্রীর পরিচয় তাঁর ধর্ম দিয়ে! বিতর্কের জেরে ইস্তফা দিতে পারেন মহুয়া দাস

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার করোনা আবহে প্রকাশিত হয় ২০২১-এর উচ্চ মাধ্যমিকের (Higher Secondary) ফলাফল। করোনা আবহে পরীক্ষা না হলেও,বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হয়। আর সেই কারণে মেধাতালিকা প্রকাশ না করলেও, সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস (Mahua Das)। আর তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে এক নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয়।

এদিন ফলাফল ঘোষণা করার সময় সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, ‘সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯। পরিসংখ্যান যা দেখেছি, তাতে ৪৯৯ নম্বর একজন পরীক্ষার্থীই পেয়েছেন। মুর্শিদাবাদের এক মুসলিম কন্যা এই নম্বর পেয়েছেন।’ আর এরপর থেকেই তোলপাড় শুরু হয় গোটা রাজ্য জুড়ে। কৃতী ছাত্রীর পরিচয় তাঁর নাম দিয়ে নয়, তাঁর ধর্ম দিয়ে করা হল! এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই আলোড়ন সৃষ্টি হয় সব মহলেই।

d38e911d0b6de0d31658b80e8abbc062

এই ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া ছাত্রীটির ধর্ম নিয়ে বলাটা পাপ ও অন্যায়। ধর্ম দিয়ে ভালো ফল করেনি, তাঁর মেধার জোরেই সে ভালো ফল করেছে। মেধার দ্বারাই সমস্ত পথ অতিক্রম করা যায়, ধর্ম দিয়ে নয়। এই বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি যা বলেছেন, তা ভারতের সংবিধানকে অবমাননা করে। আর আমি ঘটনাকে একদমই সমর্থন করি না’।

বিভিন্ন মহল থেকে নানা রকম মন্তব্য আসতে থাকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এমনকি সভাপতি মহুয়া দাসের পদত্যাগের দাবীও ওঠে। বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার তাঁকে নাকি শোকজ করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার জন্য ঘনিষ্ঠদের কাছে মহুয়াদেবী বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে মহুয়া দাস জানান, ‘আবেগের বশে বলে ফেলেছি আমি’।

তবে রুমানার নাম না নিয়ে তাঁর ধর্ম দিয়ে পরিচয় করানোর বিষয়টাকে ভালো ভাবে নেয়নি রাজ্য সরকার। মহুয়া দাসের কাছে এই ঘটনার কৈফিয়ৎও তলব করেছে। তবে কানা ঘুষো শোনা যাচ্ছে, এই ঘটনার জন্য ইস্তফা দিতে পারেন মহুয়া দাস। তবে তিনি যদি ইস্তফা নাও দেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য সরকার- এমনটাও জানা গিয়েছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর