বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার এক নামী জামাকাপড় এবং খেলার সামগ্রী প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে খড়গহস্ত কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (mahua moitra)। এই ইস্যু নিয়ে রীতিমতো ট্যুইট যুদ্ধেও নামলেন তিনি। সাংসদের অভিযোগ, প্রয়োজন ছাড়াই মাত্রাতিরিক্ত অতি ব্যক্তিগত তথ্য দাবি করছে ওই সংস্থা।
মহুয়া মৈত্রর করা ট্যুইটটি থেকে জানা যাচ্ছে, দিল্লির একটি বিপনী থেকে বাবার জন্য ১৪৯৯ টাকা দামের একটি প্যান্ট কিনতে যান সাংসদ। সেই প্যান্টের দাম মেটানোর সময় ক্যাশ কাউন্টারে তাঁর মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি চাওয়া হয়। আর তাতেই যে চটেছেন তিনি তা বলাই বাহুল্য। মহুয়া মৈত্রর দাবি, এই ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়া গোপনীয়তা রক্ষা অধিকার আইনের বিরোধী। তাঁর সেই অধিকার লঙ্ঘণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
Want to buy my dad trousers for ₹1499 in CASH at @Decathlon_India Ansal Plaza & manager insists I need to put in my mobile number & email
ID to purchase.
Sorry @Decathlon_India you are violating privacy laws & consumer laws by insisting on this. Am at store currently.— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) April 28, 2022
মহুয়া ওই সংস্থার নাম করে ট্যুইটিতে লেখেন, ‘আনসাল প্লাজার ডেক্যাথলন স্টোরে বাবার জন্য একটি ১৪৯৯ টাকা দামের প্যান্ট কিনে নগদেই পেমেন্ট করছিলাম। কিন্তু সেই সময় ম্যানেজার আমায় জোর জবরদস্তি করে বলেন জিনিস কিনতে গেলে আমাকে আমার ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। ‘ তিনি আরও লেখেন, ‘দুঃখিত! আমি কোনও ব্যক্তিগত তথ্য দেব না। এটি গোপনীয়তা রক্ষা অধিকার আইনের পরিপন্থী।’ ওই বিপনিতে দাঁড়িয়েই ট্যুইটটি করেন তিনি।
এরপর আরও একটি ট্যুইট করতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদকে। সেখানে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘সুপ্রিমকোর্টের একজন শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবি আমায় এই কথা বলেছেন। শেষমেষ ম্যানেজার তাঁর নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে আমাকে জিনিসটি কিনতে সাহায্য করেছেন। কিন্তু ডেক্যাথলন ইন্ডিয়ার পরিবর্তন দরকার।’ উল্লেখ্য, স্ক্রিনশটটিতে নিজেরও একই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন ওই আইনজীবী। এমনকি মহুয়াকে মোবাইল নম্বর এবং ব্যক্তিগত তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার না করারই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।বিষয়টিকে নিয়ে যে বেশ হৈচৈ নেট পাড়ায় তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।