বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত বৃহস্পতিবার অসম্পূর্ণ থেকে গেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। সেই কারণে ফের একবার বৈঠকের আয়োজন করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। সূত্রের খবর, আগামী ৭ নভেম্বর মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) ‘ঘুষের বদলে প্রশ্ন’ মামলার খসড়া তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। এইসব ঘটনার মাঝেই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু হতে পারে। বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এইদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষ্ফোরক সুরে মহুয়া বলেন, ‘আমার আশঙ্কা BJP আমার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস পরিকল্পনা করেছে। তবে আমি তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছি। জেনে রাখুন CBI এবং ED-কে আগে আদানির বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটি টাকার কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় FIR দায়ের করতে হবে। তারপর না হয় আমায় প্রশ্ন করবেন, আমার কাছে কত জোড়া জুতো রয়েছে।’
এখানেই থেমে না থেকে পুনরায় একটি টুইট করেন মহুয়া। সাংসদ লেখেন, ‘আর BJP, মহিলা সাংসদদের মিথ্যা ইস্যুতে অভিযুক্ত করার আগে জেনে রাখবেন, আমার কাছে এথিক্স কমিটির বৈঠকে বলা প্রতিটা কথার রেকর্ড রয়েছে। চেয়ারম্যানের নিম্নমানের অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন, বিরোধী সাংসদদের প্রতিবাদ, আমার প্রতিবাদ, সমস্তটা সাদা-কালোয় আমার কাছে স্পষ্ট রেকর্ড রয়েছে। বেশরম, বেহুদা।’ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এথিক্স কমিটির মিটিং-এ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। বৈঠকের মাঝখানেই বেরিয়ে আসেন মহুয়া মৈত্র।
আরও পড়ুন : সচিন, ধোনি, কোহলির কাছে যা আছে তা সৌরভের কাছে নেই! ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে আক্ষেপ সৌরভের
তৃণমূল সাংসদ বেরিয়ে আসার সাথে সাথেই ওয়াকআউট করেন এথিক্স কমিটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে মহুয়ার বিরুদ্ধে। যদিও মহুয়া সাংবাদিকদের সামনে চড়া গলায় বলেন, ‘এটা একটা এথিক্স কমিটি? এই কমিটির চেয়ারম্যানের নমুনা? জঘন্য প্রশ্ন করা হয়েছে আমাকে। আমি কোন বন্ধুর সঙ্গে রাতে কতবার কথা বলি, কী কী কথা বলি, এসব জানতে চাইছে ওরা। আমি বরদাস্ত করব না। আমি বেরিয়ে এসেছি।’ সূত্রের খবর, এইদিনের বৈঠকে গভীর রাত পর্যন্ত মহুয়া কার সাথে কথা বলেন? তার হোটেল ভাড়া কে মিটিয়েছেন? এই ধরণের প্রশ্ন করা হয়। ফোন রেকর্ডও চাওয়া হয় বলে খবর।
আরও পড়ুন : ‘দরিদ্রতা বুঝতে বই পড়তে হয়নি’, ফ্রী রেশন ইস্যুতে কংগ্রেসকে সপাটে জবাব মোদীর
যদিও মহুয়ার সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকারও। বিজেপি সাংসদের পালটা অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদই তাদের অপমান করেছেন। সামান্য প্রশ্ন করাতেই মেজাজ হারিয়ে অপভাষার প্রয়োগ করেছেন তিনি। তার দাবি, প্রশ্ন এড়াতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন মহুয়া। বিজেপি সাংসদের দাবি, বিশেষ করে দর্শন হিরানন্দানিকে নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর নাকি মহুয়া দিতে চাননি। আর তাই এই জল্পনা কল্পনা।