বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভার এথিক্স কমিটির রিপোর্টের জেরে সাংসদপদ খুইয়েছেন মহুয়া মৈত্র। যদিও তাতেও দাপট কমেনি মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra)। এইদিন সাংসদ পদ খোয়ানোর পর রীতিমত বিষ্ফোরণ ঘটালেন যেন। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের কথায়, এই এথিক্স কমিটির কোনও নীতি নেই। সুকান্তের উদ্ধৃতিকে অস্ত্র করে তিনি বলেন, ’আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই, স্বজন হারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই।’
‘ঘুষের বদলে প্রশ্ন’ কাণ্ডে বহিষ্কৃত হওয়া মহুয়া শুরু থেকেই দাবি করে এসেছেন তার বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ সবটাই মনগড়া এবং সাজানো। প্রাক্তন সাংসদ এটাও বলেছেন, এমন দুজন নাগরিকের বয়ানের ভিত্তিতে তার ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়েছে যারা পরষ্পরবিরোধী কথা বলেছেন। যার মধ্যে ব্যবসায়ী মানুষটিকে তো নাকি জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি।
কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘এথিক্স কমিটি ক্যাশ ফর কোশ্চেনের অভিযোগ তুলছে। অথচ, কোথাও কোনও ক্যাশের লেনদেনের প্রমাণ মেলেনি। আমাকে বলা হয়েছে, আমি লোকসভার লগ ইন আইডি ব্যবসায়ীকে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সংসদের নিয়মে কোথাও লেখা নেই যে এটা অনৈতিক।’ গোটা বিষয়টিতে তিনি আঙুল তুলেছেন মোদী সরকারের দিকেই।
আরও পড়ুন : ব্যান্ডেল কাটোয়া শাখায় লাইনচ্যুত মালগাড়ি, ২ ঘন্টার উপর বন্ধ ট্রেন চলাচল, বিপাকে যাত্রীরা
তার মতে এভাবে তাকে আদানি ইস্যুতে দমিয়ে রাখা যাবেনা। লোকসভার এথিক্স কমিটিকে তো ক্যাঙ্গারু কোর্ট বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘এই ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে গোটা দেশ বুঝে গেল, আদানিকে বাঁচানোর জন্য মোদি সরকার কতদূর যেতে পারে। আজ গোটা দেশ বুঝে গেল আদানি মোদির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’ সেই সাথে তিনি এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন যে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে তার বাড়িতে CBI-ও পৌঁছে যেতে পারে।
সাংসদ পদ খোয়ানোর পর মহুয়ার প্রশ্ন, ”ভরা সংসদে দাঁড়িয়ে বিজেপির রমেশ বিধুরি (Ramesh Bidhuri) দানিশ আলিকে বলে গেলেন, তুই মোল্লা, তুই নপুংসক, তুই কাটুয়া- তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। অথচ আমাকে বহিষ্কৃত করা হল কীসের ভিত্তিতে?’ সেই সাথে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের হুমকি