বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), বাংলা তথা দেশের রাজনীতিতে অতি পরিচিত একটি নাম। কিছুদিন আগেই সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছিলেন তৃণমূলের এই নেত্রী। ভোটের আগে পর পর ঝটকা খেয়েছেন মহুয়া। যদিও দল তার পাশ থেকে সরে যায়নি। নিজেকে সামলে ২৪ এর লোকসভা ভোটেও জোড়াফুলের হয়ে লড়েন মহুয়া।
একদিকে সংসদ থেকে বহিষ্কার অন্যদিকে সিপিএমের সংখ্যালঘু ভোট কাটার জের, এই দুই মিলিয়ে এ বার তৃণমূল প্রার্থীর লড়াই বেশ কঠিন হতে চলেছে, এমনই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও এসব পাত্তা না দিয়ে নিজের জয় নিয়ে যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী মহুয়া। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তিনি এক লক্ষ ভোটে জিতবেন বলে মনে করছেন তৃণমূল প্রার্থী।
গত ১৩ মে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এ দিন পুঞ্চায় দলীয় প্রার্থীর প্রচার সভা থেকে মহুয়া বলেন, ‘আমার দৃঢ বিশ্বাস, এক লক্ষ ভোটে আমি আবার জিতব।’ প্রসঙ্গত, গতবার নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিলেন মহুয়া। এবার প্রায় ৬৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট প্রার্থী।
তবে গতবারের সাথে এবারের মিল দেখছে না রাজনৈতিক মহল। সেবার মহুয়ার জেতার পেছনে বড় অবদান ছিল সংখ্যালঘু ভোটারদের। তবে এই সেই ভোটব্যাঙ্কে ধস নামতে চলেছে বলেই মত অধিকাংশের। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যালঘু এলাকায় যেভাবে সিপিএম এবং কংগ্রেসের ভোটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে তাত তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে যে ভাঙন ধরতে পারে সেকথা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মহুয়ার মুখোমুখি হয়েছেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের কূলবধূ রানিমা অমৃতা রায় (Rani Maa Amrita Roy)। মহুয়ার জয়ের কথায় বিজেপি প্রার্থী অমৃতার পাল্টা দাবি, ‘উনি মারপিট করে, বাঁশপেটা করে ভোটে কারচুপি করে এক লক্ষ ভোটে জেতার দিবাস্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না। এখানকার মানুষ এক জন দেশদ্রোহীকে জেতাবে না।’
আরও পড়ুন: DA নিয়ে হাই কোর্টে দায়ের নতুন মামলা! বিপাকে রাজ্য সরকার, আদালতে ধাক্কা খেলে যা হবে…
অন্যদিকে কৃষ্ণনগরের সিপিএম প্রার্থী এস এম সাদির দাবি, ‘দাদা-দিদি দুটোই ডুবছে। তাই তৃণমূল প্রার্থী এখন কষ্টকল্পিত কথা বলে হতাশ হয়ে পড়া কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাইছেন। তবে ফল বেরোলেই সবটা একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ এবার কাকে টেক্কা দিয়ে কে কৃষ্ণনগরের সিংহাসন দখল করে বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন।