বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় নাকি বলে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। কিন্তু প্রবাদ-প্রবচন বাস্তব জীবনের সাথে সমান্তরাল ভাবে চললেও এবার গরু আর বাঘের দ্বন্দ্ব রাজ্য রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে। গরুকে নাকি জাতীয় পশু করতে হবে। বাঘকে নয়। তবে কেন এমন আবদার? কিসের এই প্রস্তাব? এই প্রস্তাব উঠেছে কোথা থেকে এইসব শুনে আপনারও চক্ষু চড়কগাছ হতে পারে।
মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধু-সন্তদের সমানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাঘের বদলে গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার দাবি করেন এই হিন্দু ধর্মগুরু। বলেন, ‘বাঘকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার কারণেই দেশে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। আমরা যদি বাঘের বদলে গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করি তাহলে দেশে শান্তি আসবে। কারণ গরু হল সব ভারতীয় নাগরিকের মা। তাকে জাতীয় পশু ঘোষণা করা হলে দেশে আর কোনও সন্ত্রাসবাদীর জন্ম হবে না।’ তবে শুধু এতোটুকু বলেই শান্ত থাকেননি তিনি গঙ্গা নদীর বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।
গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার পাশাপাশি গঙ্গা নদীর শুদ্ধিকরণে আরও গুরুত্ব আরোপ করার কথা উল্লেখ করেন বিশ্বেসাতীর্থ স্বামী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একসময় গঙ্গা আমাদের পবিত্র করত। দুর্ভাগ্যের বিষয় তাকে আমরা এতটাই দূষিত করেছি যে আজকে সেই গঙ্গাকেই শুদ্ধ করতে হচ্ছে।’ হ্যাঁ তবে এই বিষয়টা প্রশংসার যোগ্য এটা মানা যেতেই পারে।
মঙ্গলবারের সভা থেকে জীবদ্দশায় রাম মন্দির তৈরি হওয়া দেখে যেতে পারবেন বলেই আশাপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘মৃত্যুর আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হওয়া দেখে যেতে চাই। দেশও রাম রাজ্যে পরিণত হোক।’
তবে ভারত সর্বধর্ম সমন্বয়ের দেশ। এখানে হিন্দু জৈন খ্রিস্টান সমস্ত ধর্মের লোক একই ছাতার তলায় বসবাস করছে। তাই ভারতে যদি কোনো ঘোষণা হয় তবে তার সব ধর্মের পক্ষে অনুকূল হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে বলে মনে করছে এক পক্ষ।