বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র আরো একবার প্রকাশ্যে। এবার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকানোর মাধ্যমে তাঁকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। এই অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি এবং কৃষি কর্মাধ্যক্ষের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা নেওয়া হলেও পরবর্তীতে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি এবং এরপর সেই টাকা চাইতে গেলে উল্টে মিথ্যে মামলা দেওয়ার পাশাপাশি এবার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধর করার অভিযোগ উঠল, যা ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। যদিও এ সকল অভিযোগ এক প্রকার অস্বীকার করেছেন হজরত আলি নামে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, মালদহের হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক সংলগ্ন দৌলতনগরে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধান মোঃ নজিবুর রহমানকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এক্ষেত্রে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে মারধর করেন হজরত আলি এবং কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সমাউন ইসলামের অনুগামীরা। এই অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দৌলতনগর এলাকায়।
এক্ষেত্রে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল নেতাকে আটকে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী এবং পরবর্তীতে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তৃণমূল নেতা।
উল্লেখ্য, গত বছর পঞ্চায়েত বোর্ড তৈরি করার সময় সমস্যার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে পিন্টু যাদবের কাছে পরাজিত হন মোঃ নজিবুর রহমান। অভিযোগ, এই সময় তাঁর কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা ধার নেন হজরত আলি, কিন্তু পরবর্তীতে সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়। যদিও এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান তৃণমূল ব্লক সভাপতি বলেন, “পরাজিত হওয়ার কারণে মোঃ নজিবুর রহমান ভারসাম্য হারিয়েছেন। দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে পড়েছিল ও। সেই কারণে পদ গিয়েছে। উল্টে আমার উপরে যত রাগ। আমি কোনরকম টাকা নিইনি আর দুর্নীতিতেও জড়িত নেই।”
যদিও অপরদিকে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা বলেন, “হজরত আলির দুই ছেলে এবং কৃষি কর্মাধ্যক্ষের দলবল আমাকে বেধড়ক মারধর করে। প্রথমে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র এবং পরবর্তীতে লোহার রড দিয়ে মারে আমাকে। হজরত আলিকে টাকা দিয়েছিলাম আর সেই টাকা চাইতে গেলেই ওরা পরিকল্পনা করে আমাকে মেরেছে।”
এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। এদিন বিজেপি নেতা রূপেশ আগারওয়াল বলেন, “দলের মধ্যে পদ পাওয়ার জন্য এরা টাকার খেলা খেলছে। নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে আর এলাকাকে উত্তেজিত করে তুলছে। মানুষ সব দেখছে। দুর্নীতি থেকে শুরু করে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, কিছুতেই পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেস।”